অবৈধভাবে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে রোহিঙ্গারা সংগঠিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। শনিবার (৩১ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ২ বছর পূর্বে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত দাঙ্গা ও রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন ও গণহত্যা শুরু হলে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। মানবিক দিক বিবেচনায় সরকার তাদের টেকনাফে সাময়িক সময়ের জন্য আশ্রয় দান করে। আশ্রয় গ্রহণের সময় টেকনাফের এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের কাছে সিম বিক্রি করে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা সরকার কর্ণপাত করেন নাই।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ৩ দিন আগে রোহিঙ্গা আগমনের ২ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে লাখ লাখ রোহিঙ্গা হঠাৎ করে জমায়েত হয়ে জনসভা করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেন, সরকার এ বিষয়ে কিছুই জানতো না। আমরা গত দুই দিন টেলিভিশনের পর্দায় এক রোহিঙ্গা নেতার স্বাক্ষাতকারে লক্ষ্য করলাম তিনি মুঠোফোনে বিভিন্ন ভিডিও গণমাধ্যম কর্মীদের দেখাচ্ছিলেন এবং সেই নেতা অনলাইন টেলিভিশনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের খবর প্রচারের কথা স্বীকারও করেন। আমাদের নিজস্ব লোকজনের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে দেখতে পেরেছি রোহিঙ্গারা কথা বলা ছাড়াও ৩জি-৪জি সেবা গ্রহণ করছে। সীমান্তের ওপারে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত থাকায় বিষয়টি উদ্বেগজনক। সরকার যদি দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে ভবিষ্যতে রোহিঙ্গারা আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। কারণ ইন্টারনেটের গ্রুপ চ্যাটিং এর মাধ্যমে দ্রুতই তারা লাখ লাখ লোক সমবেত হতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন