মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

এনআরসিতে বাদ পড়েছেন আসামের সাবেক বিধায়ক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৩:০২ পিএম | আপডেট : ৩:১৫ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বহু জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্রকাশ করা হলো ভারতের আসাম রাজ্যে সংশোধিত নাগরিক তালিকা (এনআরসি)। শনিবার স্থানীয় সময় সকালে প্রকাশিত তালিকায় রাষ্ট্রহীন করা হয়েছে ১৯ লাখের বেশি মানুষকে। যদিও সেই তালিকা থেকে এবার বাদ পড়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলীয় সাবেক বিধায়ক (এমএলএ) অনন্ত কুমার মালো।

কলকাতাভিত্তিক গণমাধ্যম ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকা জানায়, আসামের সাবেক বিধায়ক বদরুদ্দিন আজমলের অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (এআইইউডিএফ) একজন প্রভাবশালী নেতা। তবে এবার অনন্ত কুমার একা নন; এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, শিক্ষক, রাজনীতিবিদসহ রাজ্যের বহু বিশিষ্ট জন।

আর এমন পরিস্থিতিতে আসামের অর্থমন্ত্রী ও রাজ্যের বিজেপি নেতা হিমন্তবিশ্ব শর্মা স্থানীয় ‘যুগশঙ্খ’ পত্রিকাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। যেখানে বিজেপি এই এনআরসির রিপোর্টকে মানবে না উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। হিমন্ত বাবু বলেন, ‘বর্তমানে এনআরসি নিয়ে ভাল কিছু আশা করা যাচ্ছে না। আমাদের এই নাগরিক তালিকাটি মোটেও বিদেশি বিতাড়নের অস্ত্র নয়। মূলত আসামকে বিদেশিমুক্ত করতে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার এই নতুন পথে হেঁটেছে।’ তিনি বলেন, ‘এনআরসির রিপোর্ট নিয়ে এতটা উৎফুল্লিত হয়ে মিষ্টি বিতরণের কিছু নেই। কেননা ৩১ আগস্ট প্রকাশিত তালিকা কোনো জাতীয় দলিল নয়।’

এ দিকে ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, শনিবার প্রকাশিত আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকার (এনআরসি) মাধ্যমে রাষ্ট্রহীন করা হয়েছে অন্তত ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ বাঙালিকে। যেখানে আগের তালিকায় বাদ দেওয়া হয়েছিল প্রায় ৪০ লাখ বাসিন্দাকে। তাছাড়া স্বীকৃতি মিলেছে প্রায় ৯ কোটি ১১ লাখ লোকের। যদিও এই তালিকা থেকে বাদ পড়াদের নিয়ে এবার আসাম তো বটেই, গোটা ভারত এমনকি প্রতিবেশী বাংলাদেশ পর্যন্ত মোদি সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে।

অপর দিকে বিশ্লেষকদের মতে, আসামের এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়াদের কাছে বাংলাদেশের কোনো নাগরিকত্ব নেই; এমনকি ভারত ছাড়া আর কোনো দেশেরই নাগরিকত্ব নেই তাদের। এমন অবস্থায় ভারত তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিলে মানুষগুলো একদমই রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়বে; যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। যে কারণে ভারত অনেকটা বাধ্য হয়েই তালিকা থেকে ছিটকে যাওয়াদের নিজ দেশের ভেতরেই বন্দি বানিয়ে রাখবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। যার অংশ হিসেবে আসামে এরই মধ্যে নতুন করে ১০টি বন্দি শিবির নির্মাণের কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। তাছাড়া অঞ্চলটিতে অতিরিক্ত ১৭ হাজার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও মোতায়েন করা হয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন