জাতীয় নাগিরক পঞ্জির তালিকা প্রকাশের পর থেকে সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গ আসামের বরপেটার তাফাজুল আলি। আগে ছিলেন বাস্তুহারা। তার সঙ্গে এবার হলেন দেশহারা। চূড়ান্ত তালিকায় তার ঠাঁই তো হয়ইনি, সঙ্গে রয়েছে আরও এক বিপদ। বিদেশি ট্রাইবুনালে তিনি যে তার জমি ও বাড়ির দলিল দাখিল করবেন তাও আর সম্ভব নয়। চলতি বছরের বন্যায় ধুয়ে গিয়েছে তার বাড়ি ও জমি।
চরম হতাশায় দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছেন এই বৃদ্ধ। তিনি বলেন, ‘এ বার কী হবে? প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য পেশ করেছিলাম। কিন্তু বন্যা আমার বাড়ি-জমি কেড়ে নিয়েছে। এখন আমার কাছে শুধু দলিল রয়েছে, জমি আর বাড়িটাই নেই। ফরেনার্স ট্রাইবুনাল নথি গ্রহণ না-করলে কী করব?’
তার সর্বস্ব বেকি নদীর গ্রাসে চলে যাওয়ার পর সম্প্রতি কোয়েমারি থেকে অন্যত্র গিয়ে থাকা শুরু করেছেন আলি। তার সন্দেহ, ‘বন্যা আমার সবকিছু নিয়ে নেয়ায় কাছেরই অন্য একটি জায়গায় গিয়ে থাকতে বাধ্য হই। আমার সন্দেহ কেউ আমার বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে আর সেই কারণেই আমার নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে।’
ফরেনার্স ট্রাইবুনালের আইনজীবী শাহজাগান আলি জানিয়েছেন, আবেদনকারীকে এনআরসি কর্তৃপক্ষের আপত্তির অর্ডার সংগ্রহ করতে হবে। কেন তার দাবি খারিজ করা হল তা জানাতে হবে। তারপর ১২০ দিনের মধ্যে কাগজপত্র তৈরি করতে হবে আবেদনকারীকে। সূত্র: টিওআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন