শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

২৬টি নদী-খাল দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৩:৩৯ পিএম

ময়ূরসহ খুলনার ২৬টি নদী-খাল দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) ও জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ময়ূর নদীর বুড়ো মৌলভীর দরগা এলাকা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাউন্সিলরসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এসময় কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ময়ূর নদীসহ ২৬টি খাল সংলগ্ন এলাকায় যতদিন অবৈধ স্থাপনা থাকবে, ততদিন উচ্ছেদ অভিযান চলবে।
এর আগে ময়ূর নদীসহ ২৬টি খাল সংলগ্ন এলাকা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন।
কেসিসি সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে চারটি সরকারি সংস্থা ময়ূর নদীসহ ২৬টি খালে যৌথ জরিপ চালায়। এর মধ্যে সেখানে ৪৬০ জন দখলদারের তালিকা তৈরি করা হয়। নদী ও খাল দখল করে তৈরি স্থাপনার সংখ্যা ৩৮২টি। এর মধ্যে ময়ূর নদীতে ৭৯ জন ব্যক্তি ৬৩টি অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছেন বলে জরিপে দেখা যায়।
মহানগরীসহ আশপাশের খাল ও নদী সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে দুই পাড় দখল করা হয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি বাধাগ্রস্ত হয়ে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় সড়ক, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে পানি জমে থাকায় ক্ষতিগ্রস্তও হচ্ছে সড়ক। যে কারণে ময়ূর নদীসহ ২৬টি খাল দখলমুক্ত করতে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুই যুগ আগেও ময়ূর নদীতে পালতোলা নৌকা চলাচল করতো। অনেক জেলে পরিবারের জীবিকার মূল উপজীব্য ছিল এ নদী। গোসল ও তৈজসপত্র ধোয়ার কাজে এ নদীর পানি ব্যবহৃত হতো। অথচ এখন দখল ও দূষণে এ নদী আর ব্যবহারের উপযোগী নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন