ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এর অঞ্চল-১০ এর আওতাধীন শ্যামপুর খালের বউবাজার সংলগ্ন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে ডিএসসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ (রোববার) ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও তানজিলা কবির ত্রপার নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে খাল ভরাট করে অবৈধভাবে খালের জায়গায় বহুতল ভবন এবং কিছু একতলা দোকান ও বসতঘর তৈরি করায় তা উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রায় ৫ ঘণ্টাব্যাপী পরিচালিত এই উচ্ছেদ অভিযানে খালের সীমানার মধ্যে অবৈধভাবে নির্মিত একটি পাঁচতলা ভবনের দুই-তৃতীয়াংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়। এ সময় আনুমানিক বিশটি একতলা বসতঘর ও দোকান ভেঙে ফেলা হয়।
অভিযানকালে দেখা যায়, খালের মুখে প্রশস্ততা ১০০ ফুট থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে সেখানে ৮ ফুট সরু খালের অবয়ব দেখা যায়। এভাবে খালের বিভিন্ন অংশ বিভিন্নভাবে দখল করে সেখানে জলপ্রবাহ বাধাগ্রস্থ করা হয়েছে এবং দখল-দূষণে খালটিকে মৃতপ্রায় বানিয়ে ফেলা হয়েছে।
অভিযান সম্পর্কে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা খালের সীমানা নির্ধারণ করেছি। এখন সীমানার মধ্যে থাকা অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
শ্যামপুর খালের উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা সম্পর্কে দেশের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ডিএসসিসির সার্ভেয়ারগণ যৌথভাবে নদীর সীমানা নির্ধারণ করেছে। জরিপ অনুযায়ী আমরা দেখেছি, খালের মুখ যেখানে মিলিত হওয়া হয়েছে, সেখানে খালের প্রশস্ততা ১০০ ফুট থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে আমরা পেয়েছি ৮ ফুট। জরিপ অনুযায়ী খালের প্রশস্ততা পুরোপুরি ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করে চলেছি।
এদিকে এই উচ্ছেদ অভিযান প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মোঃ বদরুল আমিন বলেন, অবৈধ দখলদাররা খাল দখল করে পুরো খালকে একটি সরু নালায় পরিণত করেছিল। খালটি সামনে ও পেছনে বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার সাথে সংযুক্ত ছিল। আমরা সেই সংযোগ ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছি। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী উচ্ছেদ কার্যক্রমে কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হয়নি, হবেওনা।
অভিযানে উচ্ছেদকৃত মালামালের ধ্বংসাবশেষ উপস্থিত সকলের সম্মুখে স্পট নিলামে বিয়াল্লিশ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। যা আগামী কর্মদিবসের সিটি কর্পোরেশনের তহবিলে জমা প্রদান করা হবে। এছাড়াও, এ সময় সরকারি কাজে বাধাদান করায় এক ব্যক্তিকে দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারায় পাঁচশত টাকা ও মাস্ক না পরিধান না করার কারণে আরেক ব্যক্তিকে ২৬৯ ধারায় এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন