ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গার তীরে বিআইডব্লিউটিএ-এর উচ্ছেদ অভিযানে ৫১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আজ বুধবার(২৬ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯টায় এউ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে বিকের ৫টা পর্যন্ত একটানা চলে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিমের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এটি ছিল বিআইডব্লিউটিএ এর ঢাকার চারপাশে নদী দখল-দূষণ মুক্তকরনের উচ্ছেদ অপসারন অভিযানের ২য় পর্বের ১১তম কার্যদিবস। এই উচ্ছেদ অভিযানে বসুন্ধরা গ্রুপের পুরনো একটি ময়দার ফ্যাক্টরীভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং ১০টি ড্রেজার পাইপের লাইন ধবংস করে ফেলা হয়। এয়াড়া আধাপাকা দোকান-পাটসহ অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় বেদখল হওয়া নদীর প্রায় সাড়ে তিন একর জমি উদ্ধার করা হয়। বুড়িগঙ্গা নদীর সীমানায় রাখা বালু ও পাথরকুচি প্রায় ২৬লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। বিআইডবি¬উটিএর যুগ্ম পরিচালক (ঢাকা নৌবন্দর) এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান,এই উচ্ছেদ অভিযানে ১তলা পাকা ভবন ৬টি,আধাপাকা ভবন ৫টি, পাকা ওয়াল ৫টি, টিনের ঘর ২৫টি,১০টি ড্রেজার পাইপসহ ৫১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সাড়ে তিন একর জমি উদ্ধার করা হয়। ২১লক্ষ ৪৫হাজার নিলাম বিক্রি করা হয় এবং ১লক্ষ ৫২টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। বিআইডবিøউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিম বলেন, নদীর তীরভূমি দখল করে পাথর ও বালির ব্যবসা করা অপরাধে ৫ জনকে আটক করা হয়। পরে যাচ্চাই বাছাই করে তিনজনকে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। এ সময় নদীর তীরে রাখা বালু ও পাথর কুচি জব্দ করে প্রায় ২৬ লাখ টাকা বিক্রি করে রাষ্ট্রিয় কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।উল্লেখ্য গত বছর ২৯ জানুয়ারি থেকে ৬০ কার্য দিবসে রাজধানীর চারপাশের নদীর তীরে অভিযান চালিয়ে বহুতল ভবনসহ প্রায় ৫ হাজার অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে বিআইডবি¬উটিএ কতৃপক্ষ। আর অবমুক্ত করা হয়েছে ১২৪ একর জায়গা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন