কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন বাঙ্গরা বাজার থানার হায়দরাবাদ মৌজায় সামছুল হক কলেজের সীমানা লাগুয়া এলাকায় সরকারি খালের জায়গা দখলমুক্ত করতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন থেকে প্রায় মাস তিনেক আগে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা জেলার পরিস্থিতি ও লকডাউনের (বিধিনিষেধ) কারণে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছিল না। আর এরিমধ্যে সরকারি খালের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা পাকা দালানকোঠার কাজ অব্যাহত রেখেছে দখলদাররা। এভাবে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি ছুটির দিনে রাজমিস্ত্রি আর শ্রমিক লাগিয়ে নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছে দখলদাররা।
সরকারি খালের জায়গায় উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানোর সব প্রক্রিয়া প্রশাসনিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার পরও দখলদাররা এটিকে নিজেদের সম্পত্তি মনে করছে। শুক্রবার দিনভর দখলদারদের নেতৃত্বে খালের জায়গায় নির্মাণাধীন পাকা দালানকোঠায় সার্টারের দরজা স্থাপনের কাজ করেছে শ্রমিকরা।
বিষয়টি জানার পর মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেছেন, ‘উচ্ছেদ মোকদ্দমা নং ১৫৯-২০১৯ এর আলোকে ওই জায়গায় উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়েগ দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি ও সরকারি বিধি নিষেধ চলমান থাকায় উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়নি। বিধি নিষেধ বর্তমানে শিথিল করা হয়েছে, তাই তারিখ ও সময় নির্ধারণের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করে উচ্ছেদ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এটি উচ্ছেদের বিষয়টি যেহেতু চূড়ান্ত। তাই দখল করা জায়গায় নির্মাণাধীন স্থাপনায় যতই কাজ করুক কোন লাভ নেই। কাজ করলেও এটি উচ্ছেদ হবে, না করলেও উচ্ছেদ হবে।
উল্লেখ্য,সরকারি খালের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের শুরুতেই বাধা দেন আন্দিকোট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ভূমি অফিসের লোকজন। পরে বাঙ্গরা থানা পুলিশ এসেও স্থাপনা নির্মাণে বাধা দেয়। এরপর মুরাদনগরের সদ্য বিদায়ী সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল সরকারি খাসের খালের জায়গায় কাজ বন্ধসহ নির্মাণাধীন স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেন দখলদারদের।
এছাড়াও হায়দরাবাদ সামছুল হক কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম কলেজ সীমানা ঘেঁষে চলমান খাল দখলের কারণে পরিবেশের ক্ষতি, পানি নিস্কাশনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়া এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে বিঘœ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা উল্লেখ করে খালের জায়গা থেকে জনস্বার্থে নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনা অপসারণের দাবী জানিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন