মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে ব্রিজ নির্মাণ

প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের বাড়ছে ক্ষোভ
কালকিনি (মাদারীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুর হাটে এলজিইডির (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) একটি ব্রিজ নির্মাণকে কেন্দ্র করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীসহ গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিজ নির্মাণ করতে গিয়ে খালের ওপর বিকল্প সড়ক (ডাইভারসন) নির্মাণ না করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও গ্রামবাসী জানায়, এলজিইডির ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে গোপালপুর খালে হাট সংলগ্ন একটি ব্রিজ নির্মাণ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভূইয়া অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন। কিন্তু নির্মাণ কাজ শুরু করা হলেও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য কোনো বিকল্প সড়ক তৈরি না করায় চরম দুর্ভোগের শিকার হন হাটের ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও স্কুল-মাদ্রাসা পড়–য়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সাথে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। গোপালপুর হাটের ব্যবসায়ী মো. শিপন, সোহেল তালুকদার, ইলিয়াস শেখ, আ. রাজ্জাক তালুকদার, মো. জহির বেপারী, মো. আবুল, মহসিন হাওলাদার, গ্রামবাসী আরজু হাসান মানিক, রুবেল তালুকদার, নান্নু তালুকদার, হানিফ তালুকদার, আমির ঘরামি, আরজ আলী, আলিম তালুকদারসহ ৩০/৪০ জন ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন ‘ব্রিজ নির্মাণ করতে আসলে আমরা প্রথমে ডাইভারসন (বিকল্প সড়ক) নির্মাণের দাবি জানাই। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মোসাররফ হোসেন কারো দাবির তোয়াক্কা না করে কাজ শুরু করেন। এতে আমরা চরম দুর্ভোগের শিকার হই। আর কাজও করা হচ্ছে নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে। আমরা এর তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা দাবি করি। এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মোসাররফ হোসেন বলেন ‘ডাইভারসন ছিল কিন্তু খালে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তা তলিয়ে গেছে, তবে ঠিকাদারকে বিকল্প কিছু ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন