বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

গবাদি পশুর ব্রুসেলোসিস রোগের টিকা উদ্ভাবন

বাকৃবি গবেষকের সাফল্য

বাকৃবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৪:৩৩ পিএম

দেশে প্রথমবারের মত গবাদি পশুর ব্রুসেলোসিস রোগের টিকা উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক। প্রায় দেড় বছরের গবেষণায় এ সাফল্য পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান ও তার সহযোগী গবেষকেরা। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে বিশ^বিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই দাবি করেন গবেষকেরা।

প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে গবেষক দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন ডা. আব্দুল্লাহ আল মারুফ, ফারজানা ইয়াসমিন, সুকুমার রায় ও আনন্দ চৌধুরী।


প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গবাদিপশুর ব্রুসেলোসিস একটি জুনোটিক (গবাদি পশু থেকে মানুষেও ছড়াতে পারে) রোগ। ব্রুসেলা অ্যবোরটাস নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনে গবাদি পশুতে এ রোগ হয়ে থাকে। তবে এ জীবাণুর বিভিন্ন স্ট্রেইন রয়েছে। দেশের গবাদি পশুতে সাধারণত বায়োভার-৩ স্ট্রেইন দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগে আক্রান্ত প্রাণীর প্রজননতন্ত্র সংক্রমিত হয়ে গর্ভপাত, বন্ধ্যত্ব ও মৃত বাচ্চা প্রসবজনিত জটিলতা সৃষ্টি হয়।

রোগের টিকা উদ্ভাবন সম্পর্কে অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুর বলেন, ব্রুসেলোসিস প্রতিরোধে আমরা বাংলাদেশের গবাদি পশুতে ব্রুসেলা রোগের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়ার স্ট্রেইন বায়োভার-৩ শনাক্ত করে সেখান থেকে হিট কিলড্ ভ্যাক্সিন তৈরী করেছি। গবেষণার শুরুতে আমরা এ রোগে আক্রান্ত গর্ভপাত গাভীর মৃত বাচ্চা ও গর্ভফুল নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করেছিলাম। পরে এসব নমুনা থেকে নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন কওে ল্যাবরেটরিতে কালচার এর মাধ্যমে এ জীবাণু আলাদা করি। পরে সেই জীবাণুকে নির্দিষ্ট পরিমাণ তাপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে অকার্যকর করা হয় যেন তা প্রাণিদেহে রোগ সৃষ্টি করতে না পারে। আর এই অকার্যকর জীবাণু গিনিপিগের শরীরে প্রবেশ করে চতুর্থ সপ্তাহে সর্বোচ্চ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা লক্ষ্য করা যায়। আর এভাবে ব্রুসেলোসিস রোগের টিকা উদ্ভাবন সম্ভব হয়।

টিকা বাজারজাতকরণের বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুর বলেন, উদ্ভাবিত টিকাকে আরও কার্যকরী এবং মানসম্মতভাবে তৈরি করার জন্য গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রাণিদেহে এই টিকা আশানুরূপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম হলে আগামী তিন বছরের মধ্যে এটি বাংলাদেশে বাজারজাত করা সম্ভব হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন