শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

গৃহবধূকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা আটক ২

প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা

দুপচাঁচিয়া উপজেলায় গৃহবধূকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল শনিবার দুপচাঁচিয়া থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত ২ আসামি চাঁন মিয়া (৪০) ও আজিজুল শাহ্ (৩৫)-কে আটক করেছে। জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চন্দ্রদীঘি গ্রামের জনৈক ওয়াহেদ আলী আকন্দ (৩৬)-এর সাথে উপজেলা সদরের চামরুলের আটগ্রাম পোড়াপাড়া গ্রামের মৃত মোকছেদ আলী ম-লের কন্যা সালেকা বিবি (৩০)-এর বিয়ে হয়। ঘটনার দিন গত ৫ জুন গৃহবধূ স্বামীর বাড়ি থেকে তার বাবার বাড়ি আটগ্রাম পোড়াপাড়ায় যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। স্বামী ওয়াহেদ আলী ওই দিন সকালে তার বন্ধু গোবিন্দপুর শাহ্পাড়ার আজিজুল শাহ্র সাথে তার স্ত্রীকে পাঠিয়ে দেয়। আজিজুল মাছ বহনকারী সিএনজি চালক গোবিন্দপুরের বুড়িপাড়া গ্রামের মৃত কেরামত মিয়ার পুত্র চাঁন মিয়ার সিএনজিতে উঠে আটগ্রাম পোড়াপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সিএনজি চালক চাঁন মিয়া জানায়, সে তার সিএনজির মাছগুলো মহাস্থানে বিক্রি করতে নিয়ে যাবে। আজিজুল শাহ্ কৌশলে গৃহবধূকে নিয়ে মহাস্থানে যায়। সেখানে একটি বাসায় গৃহবধূকে নিয়ে ওঠে এবং ওই বাড়িতে গৃহবধূর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ষণ করে। পরে সিএনজি চালক চাঁন মিয়া মাছ বিক্রি করে ফিরে আসে। আজিজুল শাহ্ গৃহবধূকে নিয়ে সিএনজিতে উঠে এবং সান্তাহারের উদ্দেশ্যে যায়। সেখানে একটি বোডিং-এ রুম ভাড়া নিয়ে গৃহবধূকে নিয়ে দুইজনে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ঘটনার দিন গত শনিবার থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত গৃহবধূকে এমনিভাবে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। তার স্বামী ওয়াহেদ আলী আকন্দ শ্বশুরবাড়িতে খবর নিয়ে জানতে পারে তার স্ত্রী শ্বশুরবাড়িতে যায়নি। সে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায় আজিজুল শাহ্ গৃহবধূকে তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। গৃহবধূ বাবার বাড়িতে পৌছেছে খবর পেয়ে তার স্বামী ওয়াহেদ আলী ম-ল শ্বশুরবাড়িতে আসে এবং স্ত্রীর মুখে বিস্তারিত ঘটনা জানতে পারে। এ ব্যাপারে গৃহবধূ সালেকা বিবি নিজেই বাদি হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম মামলা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলা গ্রহণ করেই এজাহারভুক্ত আসামি আজিজুল শাহ্ ও চাঁন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদানের জন্য গতকাল শনিবার বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এ প্রেরণ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন