নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চাঞ্চল্যকর কিশোরী গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীসহ দু’ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ সদস্যরা। বুধবার ভোরে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুরের মৃত এসএম সামাদের ছেলে মোঃ আব্দুল কাদের শান্ত (১৯) ও একই এলাকার মৃত মিজানের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে শুভ (২৩)। এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীস্থ র্যাব-১১ এর ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর অধিনায়ক (সিও) লেঃ কর্ণেল কাজী শমসের উদ্দিন । এসময় উপস্থিত ছিলেন, র্যাব-১১ এর মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব, এএসপি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
গত ২৮ আগষ্ট রাতে এক কিশোরী (১৫) সরিষার তেল কিনতে দোকানে গেলে গণধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় ২৯ আগষ্ট ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ফতুলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
র্যাবের সিও আরো জানান, গণধর্ষণের শিকার কিশোরী তার পরিবারের সাথে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার রেলষ্টেশন এলাকায় বসবাস করছে। ওই কিশোরীর মা একটি প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করে। গত ২৮ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টায় ওই কিশোরী সরিষার তেল কিনতে একা তার বাসার পাশর্¡বর্তী মুদি দোকানে যায়। ওই সময় ওই কিশোরীর প‚র্ব পরিচিত মোঃ রাজন তাকে জোরপ‚র্বক ফতুল্লা রেলষ্টেশনের জোড়াপোল বালুর মাঠের নির্জন ও অন্ধকার স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে রাজন, শুভ, শান্ত ও অজ্ঞাত আরো ২/৩ জন মিলে ওই কিশোরীবে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর এ ব্যাপারে কাউকে কিছু না বলার জন্য ওই কিশোরীবে হুমকি দিয়ে বাড়ী পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরর পর পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এবং আসামীদের গ্রেপ্তার করার লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে বুধবার ভোরে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী মোঃ আব্দুল কাদের শান্ত ও অপর সহযোগী আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে শুভ’কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের ফতুল্লা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন