নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : পেশায় ব্যাংকার হলেও অজপাড়াগাঁয়ে নজরকাড়া বাগান করে এলাকায় সারা ফেলেছেন নীলফামারীর কামাল পাশা ইমু। অফিসের ফাঁকে যখনই সময় পান তার সবটুকুই ব্যয় করেন গাছগাছালির পিছনে। দেশের উত্তর সীমান্তের ছোট্ট জেলা নীলফামারী শহর থেকে প্রায় ৫০-৫৫ কিলোমিটার আরো উত্তরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত কাঁটা তারের বেড়া ঘেঁষা ছোট্ট গ্রাম ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের মুক্তিরহাট। এ গ্রামেরই ছেলে আইএফআইসি ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা কামাল পাশা ইমু। তিনি বর্তমানে বরিশালে কর্মরত রয়েছেন। জোতদার বাপ-দাদার অনেক পরিত্যক্ত অনাবাদি জমি কিভাবে কাজে লাগানো যায়। সাথে সাথে এলাকার প্ররিবেশ, প্রাকৃতিক ভারসাম্য, পাখির অভয়ারণ্য, মৎস্য খামার সৃষ্টির করে এলাকার আর্থসামজিক উন্নয়নে ভুমিকা রাখা যায় কিনা এ চিন্তা থেকেই কয়েকটি পটে প্রায় ৬-৭একর জমির উপর গড়ে তুলেছেন ফলজ-বনজ গাছের বাগান। বাগানের পাশে পুকুর। তাতে মাছ আর হাঁস চাষ। বাগানে ঠাঁই পেয়েছে মেহেগিনি, লম্বু, কাঁঠাল, আম, জামসহ নানা প্রজাতির হাজারও গাছ। নতুন করে শুরু করেছেন এ এলাকার প্রসিদ্ধ সুপারি বাগানও। সারিবদ্ধ গাছ দেখলে যেন মন জুড়িয়ে যায়। শুধু তাই নয় হাজারো পাখির কলকাকোলিতে সারাক্ষণই মুখর হয়ে আছে মুক্তিহাটের ওই সবুজ শ্যামল বৃক্ষরাজীতে ভরা বাগান। যেন পাখির নিরাপদ অভয়ারণ্য। এ ব্যাপারে ব্যাংক কর্মকর্তা ইমু জানান, বছর ৭-৮ আগে পৈত্রিক অনাবাদি জমি কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিয়ে বাগানের কাজ শুরু করলেও বর্তমানে এটি এলাকার মানুষকে বৃক্ষ রোপণে উদ্বুদ্ধ করে তুলেছে। তিনি বলেন, চিলাহাটী-মুক্তিরহাট পাকা সড়কের কোল ঘেঁষে অনেক কষ্ট, শ্রম আর সাধনায় গড়ে তোলা বাগান আর পাখির অভয়ারণ্য তিনি মানুষের বিনোদন আর পিকনিক স্পট হিসেবে উন্মুক্ত করে দিতে চান। তিনি বলেন, চিলাহাটী স্থালবন্দর চালু যখন সময়ের ব্যাপার তখন অজপাড়া গাঁয়ের এ বৃক্ষরাজি আর পাখির কলকাকোলি মানুষের মনের খোরাক হতে পারে। আর এজন্য তিনি দর্শনার্থীদের বসার ব্যবস্থা, বিশ্রাম নেয়ার জায়গাসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধা বাড়াতে কাজ করছেন বলেও জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন