সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কৃষকের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা

প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) উপজেলা সংবাদদাতা : রানীশংকৈলে মাঘের শুরুতে শীতের তীব্রতা কিছুটা কম থাকলেও মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে শীত জেঁকে বসেছে। প্রচ- শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বড় সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে ছিন্নমূল মানুষ ও শিশুরা। তীব্র শীতের মধ্যেও অসংখ্য অসহায় পরিবারের লোকজন শীতের কাপড় ছাড়াই দিনানিপাত করছে। এছাড়ারাও শীতজনিত রোগের তুলনামূলক প্রকোপ বেড়েছে। তাছাড়া ইরি মৌসুমের ধানের চারা শীতের প্রকোপে মরতে শুরু করেছে। এতে কৃষকের কপালে পড়ছে দুশ্চিন্তার ছাপ। শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করার চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ। শীতবস্ত্রের দাম বাড়লেও নি¤œ আয়ের মানুষেরা ফুটপাতে ভিড় জমিয়েছে শীতবস্ত্র কেনার জন্য। শীতের প্রথম ধাপে বিভিন্ন সংগঠন, ব্যবসায়ী, দানশীল ব্যক্তি, এনজিও প্রতিষ্ঠান শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও এখন ততটা লক্ষ করা যাচ্ছে না। তাছাড়া সরকারিভাবে যেসব কম্বল বিতরণ করা হয় তার সিংহভাগ চলে যায় রাজনৈতিক ব্যক্তি, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আমলা-চামচাদের হাতে। বঞ্চিত হয় সাধারণ মানুষ। সচেতন মহল মনে করে- সরকার কর্তৃক প্রতি বছর বরাদ্দকৃত কম্বল ঠিকমতো দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হলে এ শীতের তীব্রতা থেকে মুক্তি পেত অনেক সাধারণ মানুষ। এ বিষয়ে রানীশংকৈল ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক এম আর বকুল মজুমদার বলেন, ব্যক্তিগতভাবে যতটুকু সম্ভব সাধারণ মানুষকে শীতবস্ত্র দিয়েছি। বর্তমানে ছিন্নমূল মানুষরা শীতের প্রকোপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাজেদুর রহমান জানান, হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। এ অবস্থা আরো কিছুদিন বিরাজ করতে পারে। এ মাসের মধ্যে কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ফিরোজ কবির জানান, ঠা-াজনিত কারণে শিশুদের মধ্যে সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমেনিয়া, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা, অ্যাকোনিউমোনিয়া, ফ্যারেনজাইটিস, অ্যালার্জি ইত্যাদি রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শীতের তীব্রতা অব্যাহত থাকলে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া শীতজনিত রোগের সাথে ডায়রিয়ার প্রকোপ ও দেখা দিচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার নাহিদ হাসান জানান, হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। সরকারের বরাদ্দকৃত শীতবস্ত্র ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আরো কিছু চাহিদা পাঠানো হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন