আল আমিন মন্ডল, গাবতলী (বগুড়া) থেকে
বগুড়ার গাবতলীতে শত শত সবুজ গাছে যেন হলুদ রঙের সোনালু ফুল ফুটেছে। এ ফুলের অপরূপ সৌন্দর্যে, সৌরভ ও শোভা এখন আর চোখেই পড়ে না। পাখির কোলাহল ও ফুলের গন্ধে যেন মন জুড়িয়ে যায়। কালের বিবর্তনে সেই চিরচেনা সোনালু ফুল গাছ এখন বিলুপ্তির পথে। জানা যায়, অপরূপ শোভা দানকারী সোনালু ফুল বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে ফুটে। এলাকাভিক্তিক ফুলটির নাম ভিন্ন ভিন্ন। কোথাও সোনালু, কোথাও স্বানালী, বান্দর লাঠি, কর্ণিকা, অলানু, সোঁদাল। আবার কোথাও স্বর্ণালী ফুল গাছ বলে পরিচিত। তবে এ সোনাইল ফুল গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম ঈঅঝঝওঅ ঋওঝঞটওঅ। সৌন্দর্যের পাশাপাশি গাছের মালিক আর্থিকভাবে লাভবান হতো। এপ্রিল-মে ও জুন মাসে সোনালু গাছটি থেকে লম্বা ছড়া বের হয়। সে ছড়ায় সুন্দর হলুদ রঙের ফুল ফোটে। ফুল থেকে লম্বা শুটি হয়। সোনালু গাছের ফুল, লতা, পাতা, বীজ, মূল ঔষধি কাজে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও সোনালু ফুল গাছের শিকড় ও গাছের ছাল দিয়ে মানবদেহের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ ঔষধ তৈরি কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। সে ঔষধে মানবদেহের অনেক উপকার হয়। এছাড়াও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে কৃষক। এ ফুল গাছটি বিলুপ্তির পথে চলে যাওয়ার ফলে গাছ ও ঔষধ তৈরিতে সংকট দেখা দিয়েছে। অল্পসংখ্যক সোনালু ফুল গাছ চোখে পড়লেও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। এ গাছের এতগুণ থাকার পরেও গাছটি সংরক্ষণ ও রক্ষায় কোনো উদ্যোগ নেই। পথচারীরা কাগইল এলাকায় সোনালু ফুল গাছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখতে গাছতলায় ছুটে আসেন। পাখি ও ফুল দেখে মনটা ভালো থাকে। গাবতলী উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জুলফিকার আলী হায়দার জানান, সোনালু গাছ ফুল গুরুত্বপূর্ণ। গাছটি মানুষের জন্য উপকারী। ব্যক্তিপর্যায়ে সোনালু ফুল গাছ সংরক্ষণ প্রয়োজন রয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দাবিদার এই সোনালু ফুল গাছ। গাবতলী উপজেলা কৃষি অফিসার আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার জানান ভিন্ন কথা। তিনি জানান, সোনালু ফুল গাছ অতিরিক্ত পানি শোষণ করে। ফলে গাছটি কৃষির জন্য কম উপকারী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন