সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা
নীলফামারীর সৈয়দপুরের পাইকারী বাজারে ঢেঁড়স ৫ কেজির প্রতিপাল্লা ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবুও ক্রেতা মিলছে না। অনেকে কম দামে এসব ঢেঁড়স কিনে গরু-ছাগলকে খাওয়াচ্ছেন। এতে করে উৎপাদনকারী কৃষকরা শাকসবজির দাম না পাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে। গত শনিবার সকালে সৈয়দপুরের সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার নয়াবাজারে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে ঢেঁড়স প্রতিপাল্লা কিনছেন মাত্র ১০ টাকায়। ৫ কেজি ওজনে এক পাল্লা ঢেঁড়স বেঁচে কৃষককের ফসল উৎপাদন, তোলা কৃষাণ খরচ, পৌরসভার টোল ও ভ্যান ভাড়ার পয়সাও উঠছে না। উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের পূর্ব অসুরখাই থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে আবুল হোসেন নামে এক কৃষক সাড়ে ৩২ কেজি ঢেঁড়স এনে পানির দরে বেঁচে অফসোস করছেন। এছাড়া পাইকারি বাজারে সকল প্রকার শাকসবজি, শসা, বরবটি, পটল, করলা, কাকরুল প্রভৃতির দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। বাজারে প্রতিকেজি শসা ১২ টাকা, পটল ৪ টাকা, কাকরুল ১৫ টাকা কেজি দরে পাইকাররা কিনছেন। রমজান মাস শুরু হওয়ায় এসব শাকসবজি খুব একটা বিক্রি হচ্ছে না বলে জানান আড়তদাররা। রোজা রাখার জন্য সেহরীতে গরিব-ধনী কিছুটা হলেও ভালোমন্দ খাওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে এসব তরিতরকারি খুব একটা কিনতে যান না। এদিকে তরিতরকারির দাম পড়ে যাওয়ায় ঢেঁড়স, পটল, বরবটি ইত্যাদি পাইকারি দরে কিনে অনেকেই গরু-ছাগলের খাদ্য হিসেবে কিনছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বোতলাগাড়ির শ্বাসকান্দর, বড়দহ, দিলালপুর, কাশিরাম, খাতামধুপুর এলাকার কৃষকরা লাভের আশায় শাকসবজির আবাদ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন। বাজারে দাম না পাওয়ায় ক্ষেতের ফসল গরু-ছাগল লাগিয়ে খাইয়ে দিচ্ছেন। এ অবস্থায় পাইকাররা সস্তায় কিনে ট্রাকযোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন