সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে চলতি ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। জুলাই-জুন পর্যন্ত বারো মাসে ১ হাজার ১৮৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ।
১৯৯৬ সালে ভোমরা স্থলবন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পর থেকে চলতি অর্থবছর এটাই সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ভোমরা কাস্টম্স শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জুন মাস পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৮৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৭২ কোটি ৪ লাখ, আগষ্টে ৯২ কোটি ৮৮ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৬৭ কোটি ৭১ লাখ, অক্টোবরে ৯১ কোটি ৯৫ লাখ, নভেম্বরে ১২০ কোটি ৪৩ লাখ, ডিসেম্বরে ১১৪ কোটি ৫৮ লাখ, জানুয়ারিতে ১৩৩ কোটি ৮০ লাখ, ফেব্রæয়ারিতে ১৫১ কোটি ৮৬ লাখ, মার্চে ১৪২ কোটি ৭৩ লাখ, এপ্রিলে ৯৯ কোটি ৬৩ লাখ, মে মাসে ৫৬ কোটি ৪৯ লাখ এবং জুনে ৪২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৫৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বেশি।
গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এ বন্দরটিতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। তবে, এসময় আদায় হয়েছে ১ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়শনের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রামকৃঞ্চ চক্রবর্তী জানান, বন্দরটি শুরুর পর থেকে চলতি অর্থবছর সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখানকার ব্যবসায়ীরা যদি নির্ধারিত সকল পণ্য আমদানির সুযোগ পায় তাহলে এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন তিনি।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের নবাগত সহকারী কমিশনার প্রণয় চাকমা জানান, পন্য আমদানি-রপ্তানি ভালো হলে আশা করা যায় রাজস্ব আদায়ের লাখ্য মাত্রা অর্জিত হবে। তিনি আরো জানান, গত দুই মাসের ঘাটতি কাটিয়ে উঠে যাতে উল্লেখযোগ্য হারে রাজস্ব অর্জন হয় সে জন্য সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন