ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে শুরু হয়েছে শুদ্ধি অভিযান। প্রথমে পৌনে দুইশ’ নেতার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। অতঃপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে ৮৬ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে শোভন-রাব্বানীকে বাদ দেয়ার মাধ্যমে সিগন্যাল দেয়া হয়। এরপর শুরু হয় যুবলীগের কিছু নেতার অনৈতিক দাম্ভিকতার বিরুদ্ধে অ্যাকশন। সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসা, হাউজি-ক্যাসিনো খেলার দায়ে অভিযুক্ত যুবলীগের কিছু নেতাকে গ্রেফতার এবং তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড গুড়িয়ে দিতে অভিযানে নামে আইন শৃংখলা বাহিনী। এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বা যুবলীগ দলের কেউ দুর্নীতি-অনৈতিক কাজকর্ম করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যুবলীগের বিরুদ্ধে অ্যাকশন অভিযানের পথম দিনই মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় অভিযান চালায় আইন-শৃংখলা বাহিনী। অতঃপর ক্যাসিনোর অন্যতম গড়ফাদার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশানের বাসভবন থেকে র্যাব অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। গতকাল বুধবার রাতে গুলশান-২-এর ৫৯ নাম্বার রোডের ৫ নাম্বার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং জানায়, বুধবার রাত ৮টা ২৫ মিনিটে তাকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করা হয়। এর আগে সন্ধ্যায় খালেদের বাসায় শুরু হয় এ অভিযান। সাড়ে ৪ ঘণ্টার তল্লাশি অভিযান শেষে খালেদকে একটি সিলভার মাইক্রোবাসে করে র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় যুবলীগের কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুপুর থেকেই খালেদের বাড়িটি ঘিরে রাখেন র্যাবের শতাধিক সদস্য। আটকের সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র, গুলি ও মাদক (ইয়াবা) উদ্ধার করা হয়েছে। লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গের কারণে আরো দুটি অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। এসময় মোট তিনটি অস্ত্র জব্দ করা হয়।
যা বলছেন ভবনের ম্যানেজার
গুলশান-২ এর ৫৯ নং রোডের প্লট-৫, বক্ল-এনডবিøউ (ই) ‘প্রাইম রোজ গার্ডেন’ নামের ছয়তলা ভবনের চতুর্থ তলায় স্ত্রী, দুই সন্তান ও শাশুড়িকে নিয়ে থাকতেন যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। ৩১০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটটি চার বছর আগে কেনেন তিনি। প্রাইম রোজ গার্ডেন ভবনের ম্যানেজার আরিফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার দুপুর ৩টার সময় ডিবি পরিচয়ে সাদা পোশাকে ৬/৭ জন ভবনে প্রবেশ করেন। তারা খালিদের বাসায় যাবেন বলে এ-৩ (চারতলা) ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। এরপর তারা সেখানে কী করেন তা বলতে পারব না। এক ঘণ্টা অবস্থানের পর তারা ভবন ছেড়ে চলে যান।
তিনি আরো বলেন, র্যাবের পোশাক পরিহিত অসংখ্য ফোর্স ৪টার দিকে আসেন। তারা এসেই ভবনটি ঘিরে ফেলেন। এরপর তারা চতুর্থ তলায় চলে যান। সাড়ে ৪টার দিকে কয়েকজন র্যাব সদস্য নিচে নেমে আসেন। তারা এসে বলেন, বাসা তল্লাশি হবে। আমাদের সঙ্গে আপনারা (ম্যানেজার ও দারোয়ান) থাকবেন। র্যাবের একজন কর্মকর্তা জানান, তল্লাশিকালে খালেদ মাহমুদের কাছ থেকে লাইসেন্সবিহীন একটা পিস্তল জব্দ করা হয়। ওয়াল শোকেস থেকে দুটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে ২০০টি করে মোট ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়। এছাড়া লোহার লকার থেকে ১০০০, ৫০০ ও ৫০ টাকার বেশ কয়েকটি বান্ডেল উদ্ধার করা হয়। সেগুলো গণনার পর টাকার অঙ্ক দাঁড়ায় ১০ লাখ ৩৪ হাজার। এছাড়া ডলারেরও বান্ডেল পাওয়া যায়। টাকায় তা ৫/৬ লাখ টাকা হবে।
র্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফকিরাপুলে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার মালিকানাধীন ইয়ং মেনস ক্লাবে র্যাবের অভিযানে ১৪২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সেখানে অবৈধ জুয়া ও মদ পানের আসর জমিয়েছিলেন। র্যাবের কাছে অভিযোগ আছে, এই ক্লাবে গত আট মাস ধরে অবৈধ আসর বসত। ক্লাবের নিচতলায় যন্ত্রের মাধ্যমে জুয়া খেলা (ক্যাসিনো) চলছে। এছাড়া জুয়া খেলার ফাঁকে ফাঁকে মদ পান হয়। যারা আটক হয়েছেন তারা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আটক ব্যক্তিদের মদ পানের লাইসেন্স নেই। ইয়ংমেনস ক্লাবেরও মদ বিক্রির লাইসেন্স নেই।
তিনি আরো বলেন, আটক ব্যক্তিরা তাদের দোষ স্বীকার করেছেন। তাদের জেল-জরিমানা করা হবে। অভিযান আরো চলবে। দ্বিতল ওই ক্লাবের নিচতলায় ছিল ক্যাসিনো। আর পাশের একটি কক্ষে ছিল ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে জুয়া খেলার ব্যবস্থা। এই দুই জায়গা থেকেই ওই ১৪২ জনকে আটক করা হয়। বুধবার র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এবং র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে পৃথক ওই দু’টি অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম জানান, বিকেল ৫টা থেকে ‘ইয়াং ম্যান্স ফকিরেরপুল’ নামের ক্যাসিনোতে অভিযান চালানো হয়। ১৪২ জন আটক ও বিপুল পরিমাণ টাকা জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদক। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মতিঝিল থানার পাশেই অবস্থিত ফকিরাপুল ইয়ং মেনস ক্লাবটি ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলার জন্য ক্রীড়ামোদীদের কাছে পরিচিত হলেও এই ক্লাবে ক্যাসিনোর আদলে জুয়ার আসর পরিচালনার বিষয়টি স্থানীয়দের ভীষণ বিব্রত করতো। অভিযোগ রয়েছে, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই ক্লাবে যুবলীগের কয়েকজন নেতা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর তাদের প্রভাব বাড়তেই থাকে। ক্লাবটিতে নিয়মিত মদপানের আসর বসানোর পাশাপাশি হাউজি খেলা চালু করেন তারা। এরপর এখানে জুয়ার আসর অব্যাহতভাবে বাড়তেই থাকে।
আইন-শৃংখলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর আইন-শৃংখলা বাহিনী ক্যাসিনো শনাক্ত করতে মাঠে নামে। এরপরই গতকাল থেকে শুরু হয় অভিযান। র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। মতিঝিল-ফকিরাপুল ক্লাবপাড়ায় ক্যাসিনো থেকে শুরু করে কমপক্ষে সাতটি সরকারি ভবনে ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ ও সরকারি জমি দখলের মতো নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল এলাকায় কমপক্ষে ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করেন এই যুবলীগ নেতা। এর মধ্যে ১৬টি ক্লাব নিজের লোকজন দিয়ে আর ফকিরাপুল ইয়াং মেনস নামের ক্লাবটি সরাসরি তিনি পরিচালনা করেন। প্রতিটি ক্লাব থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে এক লাখ টাকা নেন তিনি। এসব ক্লাবে সকাল ১০টা থেকে ভোর পর্যন্ত ক্যাসিনোতে চলে জুয়া। সেখানে মাদকের ছড়াছড়ি। পাওয়া যায় ইয়াবাও।
খিলগাঁও-শাহজাহানপুর হয়ে চলাচলকারী লেগুনা ও গণপরিবহন থেকে নিয়মিত টাকা দিতে হয় খালেদকে। প্রতি কোরবানির ঈদে শাহজাহানপুর কলোনি মাঠ, মেরাদিয়া ও কমলাপুর পশুর হাট নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। খিলগাঁও রেল ক্রসিংয়ে প্রতিদিন রাতে মাছের একটি হাট বসান এই নেতা। সেখান থেকে মাসে কমপক্ষে এক কোটি টাকা আদায় করেন তিনি। একইভাবে খিলগাঁও কাঁচাবাজারের সভাপতির পদটিও দীর্ঘদিন তিনি ধরে রেখেছেন। শাহজাহানপুরে রেলওয়ের জমি দখল করে দোকান ও ক্লাব নির্মাণ করেছেন।
জানা যায়, মতিঝিল, শাহজাহানপুর, রামপুরা, সবুজবাগ, খিলগাঁও, মুগদা এলাকার পুরো নিয়ন্ত্রণ যুবলীগ নেতা খালেদের হাতে। এসব এলাকায় থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, রেলভবন, ক্রীড়া পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, যুব ভবন, কৃষি ভবন, ওয়াসার ফকিরাপুল জোনসহ বেশিরভাগ সংস্থার টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। ‘ভূঁইয়া অ্যান্ড ভূঁইয়া’ নামের প্রতিষ্ঠানটি দিয়ে তিনি তার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের নামেই অধিকাংশ টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
যুবলীগ নেতা খালেদের বাড়ি কুমিল্লা। তিনি শান্তিনগরের হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করেছেন। ওই সময় কলেজে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের গুলিতে তার একটি পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই থেকেই তাকে ল্যাংড়া খালেদ নামেই অনেকে চেনেন। ১৯৮৭ সালে ফ্রিডম মানিক ও ফ্রিডম রাসুর নেতৃত্বে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে হামলা হয়। এই দুই নেতার হাত ধরেই খালেদের উত্থান। ২০০২ সালে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ছোট ভাই মির্জা খোকনের ঘনিষ্ট সহযোগী ছিলেন খালেদ। ২০১১ সালে মোহাম্মদপুরে ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বাবু ওরফে লীগ বাবু খুন হয়। ওই খুনের সঙ্গে খালেদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
দুবাইয়ে আত্মগোপন করা শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। দুবাই ও সিঙ্গাপুরে জিসানের সঙ্গে যুবলীগ দক্ষিণের একজন শীর্ষ নেতাসহ খালেদকে চলাফেরা করতেও দেখেছেন অনেকে। সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সিঙ্গাপুরে হোটেল মেরিনা বে’তে জিসান, খালেদ ও যুবলীগের ওই শীর্ষ নেতার মধ্যে ক্যাসিনো এবং ঢাকার বিভিন্ন চাঁদার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে জিসান তাদের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। এ নিয়েই খালেদ ও য্বুলীগের ওই শীর্ষ নেতার মধ্যে দ্ব›দ্ব শুরু হয়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতার সা¤প্রতিক কর্মকান্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশের পর যুবলীগ নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে যুবলীগের দোয়া অনুষ্ঠান ও যুব জাগরণ সমাবেশের প্রসঙ্গ এলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
ওয়ান্ডারার্স ক্লাবেও র্যাবের অভিযান
রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়ং মেনস ক্লাবে অভিযান চালানোর পর পাশের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবেও অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ক্যাসিনোটি পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই গোপন দরজা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের কাউকে আটক করা যায়নি। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে অভিযানে যান র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। র্যাব জানিয়েছে, এই ক্যাসিনোটির মালিক দু’জন। তাদের মধ্যে মোল্লা মো. আবু কাওছার স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি। আরেকজন আলহাজ মমিনুল হক সাঈদ, তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, অভিযানে ক্যাসিনো পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত কাউকে আমরা আটক করতে পারিনি। তবে ক্যাসিনোর তিনটি জুয়ার টেবিল থেকে বিপুল পরিমাণ মদ, বিয়ার ও সিগারেটসহ বিভিন্ন ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে জুয়ার টেবিল থেকে ১০ লাখ ২৭ হাজার ২০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। ২০ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোটও পাওয়া গেছে এই ক্যাসিনোতে। কাউকে আটক করা যায়নি বলে নিয়মিত মাদক আইনে মামলা হবে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর গুলিস্তানের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র থেকে ৩৯ জনকে আটক করেছে র্যাব। গতকাল গভীর রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। র্যাব-৩ এর অধিনায়ক শাফিউল্যাহ বুলবুল জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র ক্লাব থেকে ৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা, কষ্টি পাথর, মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে ৭টি জুয়ার বোর্ডের মধ্যে দুটি ভিআইপিদের। গতকাল মধ্যরাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ক্লাবগুলোতে অভিযান অব্যাহত ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন