সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদের গ্রেফতারে পর গতকাল দিনভর যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্্রাটের গ্রেফতার এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি বাতিলের গুজবে অস্থিরতায় টালমাটাল ছিল আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। গতকাল সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত যুবলীগের সকল স্তুরের নেতাকর্মীরা অধীর আগ্রহে প্রতি মুহূর্তের খোঁজ-খবর রাখার চেষ্টা করেছেন। খালেদ মাহমুদের পর আর কেউ গ্রেফতার হন কি না কিংবা কমিটি বাতিল করা হয় কি না তা জানার আগ্রহ ছিল সবার মাঝে। মহানগর যুবলীগের কাকরাইলের অফিসের সামনে আগের দিন রাত থেকে গতকাল দিনভর ছিল নেতাকর্মীদের ভীড়।
এই উত্তেজনার মাঝে বিকালের দিকে গুজব রটিয়ে পড়ে যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট গ্রেফতার হচ্ছেন এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি বাতিল করা হয়েছে। ফলে নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দেয় হতাশা। সবাই নিশ্চিত হবার চেষ্টা করছিলেন কমিটি কী সত্যিই বাতিল করা হয়েছে কিনা!
তবে তা নিশ্চিত হবার সুযোগ ছিল খুব কম। কারণ সংগঠনটির বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় নেতাদের মোবাইল নাম্বার ছিল বন্ধ। সব শেষ গতকাল যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়নি। নেত্রীর নির্দেশ ছাড়া কি কিছু হয়, নেত্রীর নির্দেশ ছাড়া কি আমি কমিটি ভাঙতে পারবো? ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার কমিটি বিলুপ্তি করার যে সংবাদ আসছে তা ঠিক নয়, এটা গুজব। আমরা যা কিছু করবো নেত্রীর নির্দেশেই করবো। নেত্রীর নির্দেশ ছাড়া কিছু হবে না।
এরআগে বুধবার সন্ধ্যায় মিরপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের তিনটি ওয়ার্ডের সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, যুবলীগের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে বিরাজনৈতিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই এ ষড়যন্ত্র। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়ার গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ অপরাধ করলে শাস্তি হবেই। তবে প্রশ্ন হল, কেন এতদিন পর একজনকে গ্রেফতার করা হল? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এতদিন কোথায় ছিল? অতীতে যদি তারা সব জানত, তাহলে এতদিন কেন ব্যবস্থা নেয়নি? এখন বলছে, ৬০টি ক্যাসিনো ছিল? তাহলে কি এতদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আঙুল চুষছিল? যে ৬০ জায়গায় ক্যাসিনো চলছে সেই এলাকার পুলিশ তাহলে কি করেছে, র্যাব কি করছে? আমাকে অ্যারেস্ট করবেন? করেন? আমি রাজনীতি করি। আমাকে অ্যারেস্ট করবেন, আর আমি বসে থাকব? এতদিন ক্যাসিনো চলত, আপনারা জানতেন না?
দক্ষিণ যুবলীগের দুই নেতাকে শোকজ করা প্রসঙ্গে ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, হ্যা, দুজনকে শোকজ করেছি। আমাদের নিজস্ব ট্রাইব্যুনালে তাদের ডেকেছিলাম। গতকাল তাদের হাজির হওয়ার কথা ছিল। এরআগেই তো গ্রেফতার হয়েছে। কিছু নথিপত্র চেয়েছিলাম, তারা সেগুলো দিয়েছে। প্রশাসন যে পদক্ষেপ নিয়েছে, এটা সরকারি সিদ্ধান্ত, আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা জানিনা এটা আমাদের ব্যর্থতা। আরো ইনফরমেটিভ হওয়া দরকার ছিল। আমাদের আরো সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, যেহেতু এটা আইনি প্রক্রিয়ায় গেছে, এখনতো আমাদের কোনো কাজ নেই। এটা প্রশাসনিক পদক্ষেপ, আইনি পদক্ষেপের বিষয়, এটাতো আমাদের বিষয় নয়। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন