কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা ডিগ্রী কলেজে চলমান ডিগ্রী পরীক্ষায় নকলের ছড়াছড়ি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নকল করার বিষয়ে সহযোগীতা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার হল পরিদশর্নকালে শিক্ষকদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নকল করতে দেখা যায়।
জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর ডিগ্রী পরীক্ষ শুরু হয়। আগামী ২২ অক্টোবর পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। চলমান পরীক্ষায় পয়ালগাছা কলেজে, উপজেলার বরুড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ, আড্ডা ডিগ্রী কলেজ, আগনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ, রেহেনা কারিগরি কলেজ ও অন্য উপজেলা থেকে আন্দপুর ডিগ্রী কলেজ, শাহ শরিফ কলেজ ও নুরুল ইসলাম কলেজসহ ৭টি কলেজ থেকে প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহ করে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩টি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পয়ালগাছা কলেজের সেন্টারটি বরুড়া উপজেলা পরিষদ থেকে অনেক দূরে এবং যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা পরিদর্শনে যান না। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্য শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নকলের বিষয়ে সহযোগীতা করে আসছে। আবুল কালাম আজাদ গত ২০১১ সালের ২৯ জুন পয়ালগাছা ডিগ্রী কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। তিনি বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে প্রায় ৮ বছর ধরে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন।
এ সব বিষয়ে স্থানীয়রা ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না। শিক্ষার্থীদের নকল করার দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ না করার শর্তে হল পরিদর্শনের অনুমতি দিয়ে, নিজেও সাংবাদিকদের সাথে হলে যান। নকলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন কলেজ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা কেউ ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদ ও কেউ কেউ এমপির লোক বলে পরিচয় দিচ্ছে। তাই ওদেরকে এ বিষয়ে একটু সহযোগীতা করতে হয়। পরীক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম দায়িত্বে থাকলেও দায় সারাভাবে দায়িত্ব পালন করে। এ বিষয়ে কলেজের সভাপতি বিগ্রেডিয়ার গিয়াস উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন