শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

প্লাবনভূমিতে মাছ চাষে দাউদকান্দির শিক্ষিত তরুণরাও স্বাবলম্বী

সেলিম আহমেদ, দাউদকান্দি (কুমিল্লা) থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় প্লাবন ভূমিতে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ শুরু করা হয়, যা বর্তমানে এই ধারায় একটি মডেল। দাউদকান্দিতে ধান ক্ষেতে বর্ষা মৌসুমে মাছ ও শুকনো মৌসুমে ধান চাষ করা হয়। ১৯৮৬ সালে প্রথম প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষ করেন বানুয়া খোলা গ্রামের সুনিল কুমার রায়। তার দেখাদেখি অন্যরা এগিয়ে আসেন।

দাউদকান্দির বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়ক সংলগ্ন দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ, আদমপুর, কলাকোপা, পুটিয়া রায়পুর সিংগুলা, লক্ষীপুর, সুহিলপুর বিভিন্ন গ্রামে গড়ে উঠেছে বহু মৎস্য প্রকল্প। এসব মৎস্য প্রকল্প থেকে জাল টেনে আনার পর দেখা মিলে রুই, মিগেল, কাতল, সিলভার কাপ, পাংগাস, সরপুটি, তেলাপিয়া মাছ। পাইকারদের মাছ মেপে দিতে গিয়ে চলছে হাকডাক। ভ্যান দিয়ে মাছ নিয়ে ছুটছে কুমিল্লার বিভিন্ন বাজার ছাড়াও ঢাকা ও চট্টগ্রামে। এসব গ্রামে লাখো পরিবার চলছে মাছ চাষের আয় দিয়ে। পানিবদ্ধতার কারনে এ এলাকার এক ফসলের বেশি হয় না। এ পানিবদ্ধতা কাজে লাগিয়ে শুরু হয় মাছ চাষ।

দাউদকান্দি এলকেএস মৎস্য প্রকল্পের পরিচালক প্যানেল চেয়ারম্যান সজল মিয়া বলেন, সুহিলপুর, ল²ীপুর, কলাকোপা গ্রামের ৪০০ বিঘা জমি খালি পরে থাকত। আমি সমিতির মাধ্যমে জমি বর্গা নিয়ে মাছ চাষ করেছি এতে এলাকার বেকারত্ব অনেক কমেছে। সরকারি সহযোগীতা এবং সহজশর্তে ব্যাংক থেকে লোন পেলে ব্যবসার পরিধি ভাড়বে ফলে বেকারত্ব আরো কমে যাবে।

আপোষী মৎস্য প্রকল্পের পরিচালক মতিন সৈকত জানান, এ জমি বছরে ৮/৯ মাস খালি পরে থাকত। আমরা মৎস্য চাষ করায় এলাকার বেকার যুবকরা জীবিকা নির্বাহ করছে। হিমালয় প্রকল্পের পরিচালক আলি আহমেদ জানান, এখানে ভরা মৌসমে প্রতিদিন প্রায় ৩৩ হাজার মাছ বিক্রির জন্য তোলা হয়।

দাউদকান্দি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোসা. সাবিনা ইয়াছমিন চৌধুরী জানান, দাউদকান্দিতে ৭০টি মৎস্য প্রকল্প রয়েছে। মৎস্য চাষীরা জানিয়েছে বছরে তারা প্রায় ৫০০ কোটি টাকা লাভবান হচ্ছে। এ উপজেলায় বর্তমানে শিক্ষিত বেকার যুবকরাও মাছ চাষে সম্পৃক্ত হচ্ছেন, এতে বেকারত্ব কমছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন