দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদের পদত্যাগের দাবি করেছেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সংগঠনটির দাবি, এ দুই নেতা যুবলীগের শীর্ষ পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এই দাবি করেন মঞ্চের আহ্বায়ক প্রফেসর আ ক ম জামাল উদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, অবিলম্বে তারা পদত্যাগ না করলে এই দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট স্মারকলিপি দেবেন তারা। ওমর ফারুক চৌধুরীর গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যকে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে প্রফেসর জামাল উদ্দিন বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে হুমকি দিয়েছেন, যা দেশের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য হুমকিস্বরূপ।
তিনি আরও বলেন, কারো ব্যক্তিগত অপকর্ম-অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ভার দেশরত্ম শেখ হাসিনা নেবেন না। যুবলীগে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড নেতারা দলের নাম ভাঙিয়ে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর খোলস পাল্টিয়ে বিএনপি নেতা থেকে যুবলীগ নেতা বনে যাওয়া জি কে শামীমরা একের পর এক টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, হত্যা ইত্যাদি করে দেশরত্ম শেখ হাসিনার সকল উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। পুরো ঢাকা শহরে অবৈধভাবে ক্যাসিনো ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, টেন্ডারবাজি, কমিটি বাণিজ্য করে যুবসমাজকে ধ্বংস করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। এরা কখনোই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চর্চা করে না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অঙ্গসংগঠন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের অফিসকে অবৈধভাবে দখল করে জুয়ার আসর বসিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে দলীয় আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বেঈমানি করা হয়েছে। স¤প্রতি সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, এ রকম অভিযান যেন নিয়মিত অব্যাহত থাকে। দুর্নীতি-অনিয়ম সমাজ থেকে নির্মূল করতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতারা যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে এসব অপকর্ম দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে উল্লেখ করে ঢাবির এ প্রফেসর বলেন, ২০১২ সালে যুবলীগের কমিটি হয়েছে। কমিটি অনেক বছর আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। নিয়মিত নেতৃত্বের পরিবর্তন না হওয়ায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে সংগঠনটির নেতারা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্র থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এই ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে অবিলম্বে যুবলীগের দায়িত্ব থেকে তাদের পদত্যাগ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ দাবি করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির ঢাবি শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন