বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলার সাহারপকুর-গোপিনাথপুর সড়কের করুণ দশা। বিভিন্ন স্থানের কারপেটিং-এর পাথরসহ পিচ ওঠে ছোট ছোট গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সংস্কারের অভাবে সড়কটি চলাললের অনুপোযোগি হয়ে পড়ায় পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে গোবিন্দপুর ইউনিয়নে সাহারপুকুর বাসস্ট্যান্ড অবস্থিত। সাহারপুকুর বাসস্ট্যান্ড থেকে উত্তর দিকে শাখা সড়কটি গোপিনাথপুর অভিমুখে গিয়েছে। প্রায় ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই সড়কের দু’ধারে দুপচাঁচিয়া ও পাশবর্তি জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের লোকের বসবাস। ইউনিয়নগুলো হলো দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর, গুনাহার ও জিয়ানগর এবং আক্কেলপুরের দুটি ইউনিয়ন রায়কালী ও গোপিনাথপুর। এই পাঁচ ইউনিয়নে যোগাযোগের একটি বড় মাধ্যম সাহারপুকুর-গোপিনাথপুর সড়ক। সড়কটির গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে স্থানীয় সড়কার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে প্রায় পাঁচ কোটি তেইশ লাখ টাকা ব্যয়ে ষোলটি প্যাকেজে রাস্তাটি কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন করেন। এরপর ২০১১-১২ অর্থবছরে সর্বশেষ সড়কটির সংস্কার করা হয়। দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর সড়কটি সংস্কার না করায় সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং পিচ পাথর উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই বর্ষা মৌসুমে একপশলা বৃষ্টি নামলেই সড়কের গর্তগুলো পানিতে ভরে থাকছে। ফলে যানবাহনচালক, যাত্রী ও পথচারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নিয়মিত ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও। বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় নিয়মিত কাজে স্থানীয় লোকজন সড়কটি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। এ ব্যাপারে উনাহত সিংড়া গ্রামের আলহাজ লুৎফর রহমান তালুকদার দুদু, উনাহত সিংড়া মাদরাসার অধ্যক্ষ শাহাদত হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সড়কটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা প্রয়োজন। সংস্কার করা না হলে আগামীতে সড়কটি আরও বিধ্বস্ত হয়ে পড়বে। তখন এলাকার মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। ৫টি ইউনিয়নের এলাকাবাসীর দাবি সড়কটির প্রসস্ত করে দ্রুত সংস্কার করা হোক।
উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল আলম যথারীতি সংস্কার করে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করার আশ্বাস দিয়ে জানান, সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে চলতি বছরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় সড়কটি সংস্কারের জন্য স্কিম তৈরি করা হয়েছে। ১৪ কিলোমিটার এই সড়কের সংস্কারে প্রায় ৫ কোটি টাকার প্রকল্প স্কিম অনুমোদনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নির্বাচনের মাধ্যমে সড়কটি সংস্কার করা হবে।
উল্লেখ্য সরকারি নিয়মানুসারে প্রতি ৩ বছর পরপর নির্মাণাধীন সড়কগুলো সংস্কার হওয়ার কথা। কিন্তু উক্ত সড়কটি কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়নের পর প্রায় ৭ বছর অতিবাহিত হলেও তা সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। জনগনকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন