পার্বতীপুরে রেলের উচ্ছেদ অভিযান গত ৬ দিন অতিবাহিত হলেও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে এখনও কেউ দাঁড়ায়নি। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে উচ্ছেদ অভিযানের আতঙ্ক কাটেনি। তাদের ভবিষৎ কি হবে? তারা কোথায় যাবে? দিনাজপুরে পার্বতীপুরে বাস টার্মিনাল ও আদর্শ হুগলীপাড়া রেল এলাকা থেকে উচ্ছেদের শিকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা টার্মিনাল এলাকায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেন ।
এ মাসের গত ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর পার্বতীপুর শহরের টার্মিনাল এলাকায় প্রায় ৭ শত দোকানপাঁ ও বাড়ি ঘরে উচ্ছেদ অভিযান চালায় বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম জোনের পাকশি বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে র্যাব, পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা। এদিকে গত রোববার সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাস টার্মিনাল মোড়ে ৪ ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন করে। পরে বিক্ষোভ মিছিলসহ উপজেলা পরিষদ চত্তর প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক, নাগরিক অধিকার কমিটির সভাপতি মঞ্জুরুল আলম, সাধরণ সম্পাদক বাবুল আক্তার বাবু, সাংগাঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা রবিউল ইসলাম, বদরুল ইসলাম ও ফয়জার রহমান। বক্তারা ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি রেলভূমিতে বৈধভাবে বসবাস, দোকানপাঁ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের রেলওয়ের নীতিমালা অনুযায়ী রেলভূমি স্থায়ী বন্দোবস্তের দাবি জানান। মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার শত শত নারী পুরুষ, শিশু, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী নুরনাহার (৭০) জানান, তার বাড়ি আদর্শ হুগলীপাড়ায়। তার ৪টি ঘর ও ১টি গুদাম ঘর উচ্ছেদের সময় গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেদিন থেকে স্বপরিবারে রোদবৃষ্টি উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে আছেন তারা। সাবিনা, শাপলা, খন্দকার আশরাফুল আলম, মায়া রানী, জোহোরা বেগম, কাজলী রানী দাস, সবিতা রানী দাস উচ্ছেদের কবলে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন বলেও জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন