সুনামগঞ্জে ভ্যান চালক তরিব উল্লাহ হত্যা মামলায় আব্দুন নূর (৪০) নামের এক ব্যক্তির ফাঁসি ও তিন জনের যাবজ্জীন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মৃত্যূদন্ড প্রাপ্ত আব্দুন নূর জেলার তাহিরপুর উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের মৃত গুলে ফরমুজের ছেলে। যাবজ্জীবন দন্ড প্রাপ্তরা হচ্ছেন, মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আব্দুন নূরে বড় ভাই শাহানূর মিয়া, একই গ্রামের মৃত আক্রম আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান, মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে ইদ্রিছ আলী। তাদের ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।
সূত্র জানায়, তাহিরপুর উপজেলার শিমুলতলা গ্রামে ভ্যান চালক তরিব উল্লাহর ভাতিজা মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে পাশের বাড়ির মৃত গুলে ফরমুজের ছেলে আব্দুন নূরের সঙ্গে বাড়ির সীমানা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল রাত ৯ টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন জন হাতের রাম দা, সুলফি, চাকু ও লাঠি সোটা নিয়ে দেলোয়ারের বাড়ির উঠানে গিয়ে গালাগালি শুরু করে। এসময় দেলোয়ারের বাবা শফি উল্লাহ ও তরিব উল্লাহ ঘর থেকে বের হয়ে গালাগালির কারণ জানতে চাইলে আব্দুন নূর ও তার দলবল প্রতিপক্ষের শফি উল্লাহ এবং তরিব উল্লাহকে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে তরিব উল্লাহকে আব্দুন নূর চাকু দিয়ে তরিব উল্লাহর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। এসময় দেলোয়ার হোসেন তার বাবা ও চাচাকে রক্তাক্ত অবস্থা দেখে চিৎকার করতে থাকলে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। পরে আহত শাফি উল্লাহ ও তরিব উল্লাহকে দ্রুত সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেট নিয়ে যাওয়ার পথে তরিব উল্লাহ মারা যান।
পর দিন ২২ এপ্রিল ভ্যান চালক তরিব উল্লাহর ভাতিজা মো. দেলোয়ার হোসেন বাদি হয়ে তাহিরপুর থানায় আব্দুন নূর, শাহানূর মিয়া, ইদ্রিছ মিয়া, হাবিবুর রহমান, বজলুর রহমান ও তানজু মিয়াকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আব্দুন নূর, শাহানূর মিয়া, ইদ্রিছ মিয়া, হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে সার্জশীট দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন