শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

লক্ষ্মীপুরে রশি টেনে নৌকায় পারাপার

এস এম বাবুল (বাবর), লক্ষ্মীপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নে কালিরচর গুচ্ছগ্রামের পাশে রহতম খালী খালের দুই পাশে লম্বা বাঁশের খুটির সাথে বাঁধা রশি টেনে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার করছে কয়েকটি গ্রামের মানুষ। জেলা শহরে যাওয়ার সহজ পথ এটি, তাই এ পথেই যাতায়াত করেন এখানকার মানুষ। একটি সেতু নির্মাণ হলে ভোগান্তি লাগবের পাশাপাশি যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতো বলে ধারণা স্থানীয়দের। 

সরেজমিন দেখা গেল, ভাঙনের ফলে খালটি দেখে মনে হচ্ছে এটি কোন একটা নদী। খালের দুই পাশে লম্বা বাঁশের খুটির সঙ্গে বাঁধা রয়েছে একটি রশি। সেই রশি টেনে টেনে পারাপার হচ্ছেন স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ রোগী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, কৃষক ও দিনমজুরসহ প্রায় উভয় পাড়ে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা।
খালটির দু’পাড়ে অবস্থিত গ্রামগুলোতে প্রচুর পরিমাণে সবজি চাষ হয়ে থাকে। সেতু না থাকায় সঠিক সময়ে বাজারে নেয়া সম্ভব হয় না চাষিদের পক্ষে। ফলে অল্প দামে খাল পাড়ে পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই খরচের তুলনায় লাভ না হওয়ায়, সবজি চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষ।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, খাল পারাপারের সময় অনেক সময় নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে জামা-কাপড়, বই-কাগজ ভিজে যায়। রুশি বেগম নামের এক মহিলা জানান, তিনি খাল পাড়ে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে রয়েছেন অসুস্থ নাতিনকে নিয়ে লাখীপুর সদর হাসপাতালে ডাক্তার দেখাবেন।
নৌকার মাঝি জামাল মিয়া জানান, রশি টেনে টেনে খাল পার করতে খুব কষ্ট হয়। স্থানীয়দের কষ্টের কথা চিন্তা করেই এ কাজ করি। বর্ষাকালে খালে অনেক পানি ও ঢেউ থাকে, তখন রশি টানতে খুব কষ্ট হয়। এখানে খাল পারাপারে নির্দিষ্ট কোন ভাড়া নেই, লোকজন যত টাকা দেয় তাই নেই।
স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সৈয়দ নুরুল আমিন লোলা বলেন, রহমত খালী খালের ওপর একটি সেতুর অভাবে এখানকার মানুষের দুর্ভোগের কথা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ফলাফল পাইনি। দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ হলে এলকাবাসীর দুর্ভোগ কমবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন