ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা
বাংলাদেশে পাটের জন্য ফরিদপুর জেলা বিখ্যাত। জেলার মধ্যে ফলন ও মানের দিক দিয়ে সালথা উপজেলা সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করেছে। বছরের শুরুতেই পানির অভাবে পাট চাষিরা বিপাকের মধ্যে থাকলেও বর্তমানে পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। জানা যায়, উপজেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এরমধ্যে পাট ও পিয়াজ অন্যতম ফসল। পূর্বে এই এলাকার কৃষকরা বৃষ্টির পর পাটের বীজ বপন করতো। বীজ বপন করার ১০/১৫ দিনের মধ্যেই আবার ঘনঘন বৃষ্টি হতো। কোন প্রকার সেচের ব্যবস্থা ছিল না। রৌদ-বৃষ্টি ও আবহাওয়া পাটের অনুকূলে থাকার কারণে পাটের উৎপাদন ভালো হতো। এ বছরে এই উপজেলায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। প্রথম দিকে আবহাওয়া পাটের অনুকূলে না থাকায় কিছু জমির পাট নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকরা তাদের প্রধান ফসল পাট উৎপাদনের জন্য সেলোমেশিন দিয়ে সেচের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পাটের বীজ বপন করার আগে থেকে ১ মাস পর্যন্ত কোন বৃষ্টি না থাকায় পাট চাষিরা চরম বিপাকের মধ্যে থাকলেও বর্তমানে পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে একাধিক চাষি জানিয়েছেন। সোনাপুর ইউনিয়নের পাট চাষি মোমরেজ মোল্যা, মাঝারদিয়া ইউনিয়নের পাট চাষি আফছার উদ্দীন, গট্টি ইউনিয়নের চাষি কামাল হোসেন বলেন, প্রথমে পাট নিয়ে বিপদে থাকলেও বর্তমানে পাট গাছ বেড়ে উঠার জন্য মনে আনন্দ দেখা দিয়েছে। আর ১০/১৫ দিন পর থেকে পাটক্ষেতে যদি পানি আসে তাহলে সুস্থ্য মতো পাট কাটা ও পঁচানোর জন্য সুবিধা হবে। বর্তমানে পাট যে অবস্থায় আছে, তাতে পাট ছাড়ানোর কাজ শেষে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মাদ বিন ইয়ামিন বলেন, এবছরে এই উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। বর্তমানে পাটের অবস্থান খুবই সন্তোষজনক। আর কিছুদিন আবহাওয়া পাটের অনুকূলে থাকলে, পাটের বাম্পার ফলন হবে। তাতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন