যে কোন মুহুর্তে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করতে পারে। এখন বিপদ সীমার মাত্র ২৩ সেন্টিমিটার নিচ পানি প্রবাহিত হচ্ছে । এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, আজ রবিবার পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল হক।
এক সূত্রে জানা গেছে, ভারতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে বিহার ও উত্তর প্রদেশে । ফারাক্কা ব্যারেজের গেট ভারত আসলে জুন মাম থেকেই খুলে রাখে বলে জানা গেছে। ফারাক্কা ব্যারেজ দিয়ে হুহু গঙ্গার পানি বাংলাদেশের পদ্মা নদী প্রবেশ করছে। ফলে নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে এই নদীর প্রধান শাখা নদী গড়াই, আত্রাই পানি বাড়ছে। যার ফলে জেলার ৪টি উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহমান নদ-নদী আত্রাই, গুমনী, বড়াল, হুরাসাগর, চিকানই ও মরা পদ্মা (চিত্রা নদী) পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে নি¤œাঞ্চলের ফসল। পদ্মার পড়া চরে চাষাবাদ করা আমন ধান ও বীজ পাটের তলা ডুবে গেছে। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন প্রান্তিক কৃষকরা। শুষ্ক মওসুমে পদ্মা পড়া চরে আশপাশের দরিদ্র কৃষক বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করেন। এ গুলো এখান পানিতে ডুবে গেছে। পাবনা ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চলের ফসল তলিয়ে গেছে। এখানে রোপন করা ধান ব্যতিরেকেও কাঁচা মরিচ ডুবেছে। জেলার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া , ফরিদপুরের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে ।
সূত্র মতে,পাবনার নগরবাড়ি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। জেলার সুজানগর উপজেলায় নাজিরগঞ্জ, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন, পাবনা সদর উপজেলার মরা পদ্মা , ভাড়ারা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত এই পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুজনগরের নাজিরগঞ্জে ফের ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এই ভাঙ্গন ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। আগে ভাঙ্গনের মুখে পতিত হওয়া স্কুল, মাদ্রাসা, ফসলী মাঠ পদ্মা নদীতে তলিয়ে গেছে।ভাঙ্গন আরও এগিয়ে আসছে। যে কোন সময় সাতবাড়িয়া, নাজিরগঞ্জ, নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ভাঙ্গন আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন