শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পাবনায় পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে

পাবনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৯, ৪:২৭ পিএম

ভারতের গঙ্গা নদীর পানিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মা নদী। শুষ্ক মওসুমে শুকিয়ে থাকা পদ্মা নদী আদিরূপে ফিরে এসেছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে ০২ সেন্টিমিটারউপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব জানিয়েছেন, পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কে.এম জহরুল হক আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় । পাবনার জেলা প্রশাসক মো. কবীর মাহমুদ একই তথ্য দিয়েছেন সাংবাদিকদের। পাউবো প্রকৌশলী আরও জানান, ভারতের উজানের প্রবল বর্ষণ, অভ্যন্তরীণ বর্ষণ মিলিয়ে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর মতে পাবনা জেলাকে ঘেরে থাকা ১৫৮ কিলোমিটার মুজিব বাঁধের কারণে পদ্মা এলাকায় পাবনা শহরের কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি। তবে পদ্মার শাখা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৮টি উপজেলার নি¤œাঞ্চল (বাঁধের বাইরে) প্লাবিত হচ্ছে । পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা প্রাথমিক ক্ষতি নিরুপন করে বলেছেন, এই উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের আখ, ফুল কপি,বেগুন, শিম , কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য শীতকালীন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। প্রান্তিক কুষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
তবে এই বানের পানি সাময়িক। অল্প দিনে মধ্যেই কমে যাবে। অপর এক সূত্রে জানা গেছে, ভারতের তিস্তা ব্যারেজ দিয়ে হু হু করে পানি প্রবেশ করায় গোজাল ডোবায় ব্রক্ষপুত্র নদের পানি বাড়ছে, ফলে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে । যমুনা তীরবর্তী নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। তীব্র হয়ে উঠেছে ভাঙ্গন । যমুনা নদীর বছরব্যাপী চলা ভাঙ্গনে বহুদিন আগেই নগরবাড়ি ঘাট এলাকা সংলগ্ন পুরান ভারেঙ্গা হারিয়ে গেছে, আছে শুধু মানচিত্রের রেখায় । জেলার সুজানগর উপজেলায় পদ্মা ও যমুনা নদীর ভ্ঙাগন চলছে বলে জানিয়েছেন, সাবেক চেয়ারম্যান হাজারী জাকির হোসেন চুন্নু। আওয়ামীলীগ নেতা ও পৌর মেয়র আব্দুল ওহাব সুজানগরের কয়েকটি ইউনিয়নের ভাঙ্গনের কথা বলেছেন। ভাঙ্গন রোধে বেড়া পাউবো কোনো টেকসই কাজ না করায় হারিয়ে যাচ্ছে, ফসলী জমি, বাড়ি-ঘর, গবাদি পশু ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন