কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়কের বেহাল অবস্থা হওয়ায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছে পথচারী। চরম দুর্ভোগের শিকার জনসাধারণ। বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য বড় বড় খানাখন্দ হওয়ায় ঘটছে নানা ধরণের দুর্ঘটনা। অন্ধকারে চলাচলও বন্ধ হয়ে যায় প্রায়। এমন চিত্র দেখা গেছে নাগেশ্বরী পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রেই।
সরেজমিন দেখা যায়, নাগেশ্বরী কেরামতিয়া স্কুল থেকে বেরুবাড়ী সড়ক এবং এই সড়কের বোয়ালেরডারা ব্রিজ মোড় হতে ওয়াপদাবাজার পর্যন্ত একেবারেই নাজেহাল অবস্থা। বিশেষ করে কেরামতিয়া স্কুল থেকে বোয়ালেরডারা ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী। এতটাই গর্ত আর খানাখন্দক যে চলাচল করাই দুস্কর। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বাই সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা, অটো রিকশা, ইজিবাইক, পিকআপসহ ছোটবড় সকল যানবাহন চলাচলকারীরা। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পতচারীরা। অথচ এ সড়কটি সংস্কারের জন্য নজর নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।
স্থানীয়রা জানায় দুধকুমর নদীর পূর্বপাড়ের কচাকাটা, বল্লভেরখাস, কেদার ইউনিয়ন, পশ্চিমের বামনডাঙ্গা, বেরুবাড়ী ইউনিয়ন এবং নাগেশ্বরী পৌরসভাসহ বিভিন্ন এলাকার চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এ পথ দিয়ে যাতায়াত করে। একমাত্র এই যোগাযোগ ব্যবস্থার এমন বেহাল অবস্থা হলেও সংস্কারের কোনো নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, এমনিতেই খানাখন্দে ভরা এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দুস্কর। সামান্য বৃষ্টিতেই খালে পানি জমে থাকে। এ অবস্থায় এবারের বন্যায় এ রাস্তার উপর দিয়ে তীব্র স্রোতে পানি প্রবাহিত হওয়ায় অসংখ্য জায়গায় ভেঙে খানা-খন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
পথচারী আলী আকবর, ছকমল হোসেন, মোজাম্মেল হক, আব্দুল বাছেত ও কাচুয়া শেখ বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। রাস্তার করুণ অবস্থা হওয়ায় দুর্ঘটনার শিকার হই। এই দুঃখ কষ্ট কারও চোখে পড়ে না। ইজিবাইক চালক মমিনুল, নুর আলম বলেন, রাস্তা ভাঙাচুড়া হওয়ায় প্রায়ই গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। গাড়ি ঠিক করতে গিয়ে লাভের চেয়ে লস বেশি হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী বাদশা আলমগীর বলেন, ঠিকাদারী জটিলতার কারণে এতদিন কাজটা আটকে ছিলো। এখন সমস্যা নেই, ঠিকাদার ঠিক হয়েছে। অল্প দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন