পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ‘মুসলিম ম্যান অব দ্য ইয়ার-২০২০’ খেতাবে মনোনীত করা হয়েছে। জর্ডানের আম্মানভিত্তিক রয়্যাল ইসলামিক স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার থেকে প্রকাশিত মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
জর্ডানের সংস্থাটি ‘দ্য মুসলিম ফাইভ হান্ড্রেড’ নামে বিশ্বজুড়ে প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকার এক নম্বরে রয়েছেন পাকিস্তানের মুসলিম স্কলার মুফতি তাকি উসমানি।
মূল তালিকায় ১৬ নম্বরে রাখা হয়েছে ইমরান খানকে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের শক্তিশালী মোকাবেলা ও কাশ্মীর ইস্যুতে অসামান্য ভূমিকার জন্য ইমরান খানকে ‘মুসলিম ম্যান অব দ্য ইয়ার’ সম্মানে ভূষিত করা হয়।
রয়্যাল ইসলামিক স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার এ সংক্রান্ত বিবৃতিতে আরও বলেছে, ‘বর্তমান বিশ্বে প্রাক্তন ক্রিকেটা তারকা ইমরান খান, যিনি ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তিনি “এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তার শীর্ষস্থানীয় অগ্রাধিকারগুলির একটি হ’ল ভারতের সাথে স্থায়ী শান্তির জন্য কাজ করা। তিনি বাণিজ্য ও কাশ্মীর বিরোধের সমাধানের মাধ্যমে সম্পর্ককে স্বাভাবিক করতে চেয়েছেন। ’
দীর্ঘ ২২ বছর রাজনৈতিক ময়দানে আন্দোলন করার পর পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। এর মধ্যেই বিশ্বে যথেষ্ট পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। তার ফলশ্রæতিতে তালিকায় ১৬ তম অবস্থানে জায়গা পেয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবেলার জন্য অক্লান্তভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।
চীনের সাথে ৫০ বিলিয়ন ডলারের ‘চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর’ (সিপিইসি) ও সৌদি আরব থেকে ৬ হাজার কোটি ডলার ঋণপ্রাপ্তি, এসব সাফল্য এরই মধ্যে তাকে পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রীদের কাতারে এনে দিয়েছে। ক্ষমতায় এসে গ্রহণ করা বিভিন্ন সংস্কার পদক্ষেপ তার সাহস ও যোগ্যতার পরিচয় দেয়। তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই ক্রিকেটার ও মানবহিতৈষী হিসেবে বিশ্বব্যাপী ইমরানের পরিচিতি ছিলো।
এর আগে টাইম ম্যাগাজিনের জরিপে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
উইমেন অব দ্য ইয়ার : রাশিদা তালিব
তালিকায় মুসলিম উইমেন অব দ্য ইয়ার হয়েছেন ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত রাশিদা তালিব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ১১৬ তম কংগ্রেসে এসে প্রথমবারের মতো মুসলিম জনগোষ্ঠী থেকে দু’জন নারী সদস্য নির্বাচিত হন। একজন রাশিদা তালিব, দ্বিতীয়জন সোমালি বংশোদ্ভূত ইলহান ওমর।
এর আগে ২০০৮ সালে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে মিশিগানের আইনসভায় নির্বাচিত হয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছিলেন রাশিদা। মিশিগানের ডেট্রয়েটের বাসিন্দা রাশিদা তালিবের পরিবার ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনের ছোট একটি গ্রাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিল।
ফিলিস্তিনি-আমেরিকান প্রগতিশীল অধিকার কর্মী রাশিদা তালিব।পরিবেশ নিয়ে কাজ করার জন্য সুপরিচিত রাশিদা মিশিগান অঙ্গরাজ্যের সাবেক আইনপ্রণেতা।
নির্বাচনে জয়ের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি জানান, সবচেয়ে বড় বুলি’কে দেখে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, বরাবরই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন রাশিদা। দু’বছর আগে ডেট্রয়টে ট্রাম্পের ভাষণ বাধাগ্রস্ত করার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
এখানে উল্লেখ্য, এর আগে মাত্র দুজন মুসলিম মার্কিন কংগ্রেসে নির্বাচিত হতে পেরেছিলেন। ওই দুজনই ছিলেন পুরুষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন