সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা থেকে মীরগঞ্জ বাজার হয়ে ইমামগঞ্জ চৈতন্য বাজার রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জনগণ। দীর্ঘ ৬ কি.মি রাস্তাটি দিন দিন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। দেখার যেন কেউ নেই। উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ইমামগঞ্জ চৈতন্য বাজারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বাজারকে ঘিরে গড়ে উঠেছে শত শত দোকানপাট। এই এলাকার একমাত্র বাজার হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এখানে। এছাড়া উপজেলা, জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য একমাত্র অবলম্বন এই রাস্তাটি। রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে অসংখ্য লোক আহত হয়েছে। ২০০৭/০৮ সালের দিকে রাস্তাটি পাকাকরণ করা হয়। কিন্তু এরপর কোনো সংস্কার না করায় রাস্তাটির কোথাও কোথাও পাকা রাস্তার চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় না। রাস্তার দুই পার্শ্ব ধ্বসে পরে যানচলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার খানাখন্দে পানিতে ভরে যায়। হাটুরেদের কাদাপানি ভেদ করে চলাচল করতে হয়। সুন্দরগঞ্জ হতে চৈতন্য বাজার পর্যন্ত ৬ কি.মি রাস্তার উপর নির্ভরশীল হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ইমামগঞ্জ সরকারি বালক ও বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইমাম সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা, পুটিমারী সরকারি প্রাথমিক ও পুটিমারী উচ্চ বিদ্যালয়, মীরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক ও মীরগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষকদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তাটি। গুরুত্ব বিবেচনা করে রাস্তাটি পাকাকরণ করা হলেও সংস্কার করা হয়নি। তাই খানাখন্দে ভরে গিয়ে দিন দিন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এছাড়া ইমামগঞ্জ হয়ে পার্শ¦বর্তী উপজেলা উলিপুর ও পীরগাছার যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন এ রাস্তাটি। এলাকার সরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজনকে এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করতে হয়। বাস, ট্রাক, অটোবাইক, টেম্পো, ট্রাক্টর, অটো-ভ্যান, অটোরিকশা প্রতিনিয়ত চলাচল করলেও রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হওয়ার অনেক যানবাহন ইতোমধ্যেই কমে গেছে। ফলে যানবাহনের ওপর নির্ভরশীল ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ যাত্রীসাধারণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। রাস্তাটির ব্যাপারে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার আবুল মুনছুর জানান, সংস্কারের জন্য প্রাথমিক কার্যাদি করা হয়েছে যেকোনো সময় রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন