লক্ষীপুর জেলার রামাগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভার অধিকাংশ কাঁচা-পাকা সড়ক খানাখন্দে ভরা। এসব সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাতো দূরের কথা পথচারীরা হাটতেও হিমশিম খাচ্ছে বলে জানান এলাকার মানুষ। দ্রুত এসব ভাঙাচুরা সড়কগুলো মেরামতের দাবি জানান এলাকার সচেতন মহল।
রামগঞ্জ-চাঁদপুর ওয়াবদা সড়কের রামগঞ্জ অংশের ১০ কি.মি., সোনাপুর-চিতৌষী সড়কের রামগঞ্জ অংশের ১০কি. মিটার, সোনপুর-কাউনিয়া বাজার সড়ক, রামগঞ্জ-হরিশ্চর দরগা সড়ক, নোয়াপাড়া-হোটাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক, রামগঞ্জ-জামতলী সড়ক, রামগঞ্জ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রস্থ থানা সড়ক, বাইপাস সড়ক ও উপজেলা পরিষদ সড়কসহ উপজেলা ও পৌরসভার ছোট বড় শতাধিক সড়ক বেহাল দশাই পরিনত হয়েছে।
সড়কগুলো কোথাও দেবে গিয়ে ভেঙে পড়েছে। কোথাও ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে খানাখন্দে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে রিকশা-সাইকেলতো দূরের কথা, পায়ে হেটে চলাও দুস্কর। সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে চলাচলে দুর্ভোগ বেড়ে যায়।
গুরুত্বপূর্ণ উল্লিখিত সড়কগুলো দিয়ে প্রতিদিন মালবাহী ট্রাক, টলি, যাত্রীবাহি বাস, সিএনজি, রিক্সা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। ফলে জনগনের মাঝে চরম অস্বস্তি বিরাজ করছে।
রামগঞ্জ পৌর সচিব জাকির হোসেন বলেন, বর্তমানে রামগঞ্জ পৌরসভায় গুরুত্বপূর্ন নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাত কোটি টাকা, এডিপির অর্থায়নে এক কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা ও বিএমডিএফ প্রকল্পের আওতায় আট কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এসব কাজ সমাপ্ত হলে পৌরসভার অভ্যন্তরীণ রাস্তার দুরঅবস্থা থাকবে না।
এ বিষয়ে ল²ীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খাঁন বলেন, কয়েকটি রাস্তা সংস্কারের জন্য টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে, খুব শীঘ্রই রাস্তাগুলোর সংস্কার কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। বাকি সড়কগুলোও খুব তাড়াতাড়ি সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন