গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নেছারউদ্দিন তালুকদার স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি শিক্ষক গৌতম দত্তের বিরুদ্ধে কলেজে অনুপস্থিত থেকে বেতন উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গৌতম কুমার দত্ত নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনায় ৪ মাস কলেজে অনুপস্থিত থেকেও পূর্ণ বেতন উত্তোলন করে নিয়েছেন ও ভুয়া বিল ভাউচার জমা দিয়ে বিল উত্তোলনের চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে জানতে সরজমিনে গেলে কলেজের অফিস সহকারী মো. বসির শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এর আগে গৌতম স্যার প্রায় ৪ মাস কলেজে অনুপস্থিত ছিলেন এবং ২০১৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র ফি টাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করেছে কিন্তু গৌতম স্যার একই বিষয়ে আরোও একটি ভাউচার জমা দিলে আমি ফেরত দেই, একই সাথে জয়ন্ত কুমার হালদার স্যারের আইসিটি বিভাগের আরোও ২টি ভাউচার জমা দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে আইসিটি শিক্ষক জয়ন্ত কুমার হালদার বলেন, আমার বিভাগের ইন্টারনাল-এক্সটারনাল খরচের বিল ভাউচার আমার জমা দেয়া এবং উত্তোলন করার কথা থাকলেও আমি বিষয়টি জানিনা, ইতোপূর্বে সে আমার অগোচরে বিল উত্তোলন করে নিয়েছে। অভিযোগ সম্পর্কে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক গৌতম দত্ত বলেন, আমি কোন ভুয়া ভাউচার দেই নি, আইসিটি বিভাগের টাকা অধ্যক্ষ স্যারের কথায় আমি রেখেছি? তবে নারী কেলেঙ্কারী ঘটনায় অনুপস্থিত থেকে বেতন উত্তোল করে নেয়ার বিষয় তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। কলেজ পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক সদস্য জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন- গৌতম বাবু যে কাজটি করেছে সেটা অবৈধ এবং অন্যায় তার বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ ব্যবস্থা না নিলে আমি পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিষয়গুলো উপস্থাপন করবো।
অধ্যক্ষ আশুতোষ বিশ^াসের কাছে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে সন্তোষজনক কোন উত্তর দিতে পারেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন