সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা
নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে আবারও জমজমাটভাবে চলছে চোরাপথে আনা ভারতীয় বিভিন্ন ব্রান্ডের সাইকেলের ব্যবসা। এখানকার কয়েকজন ব্যবসায়ী নির্বিঘেœ এসব ব্যবসা চালিয়ে আসলেও আইনশৃঙ্ঘলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে নীরব। অসাধু এসব ব্যবসায়ী চোরাই সাইকেলে আর্থিকভাবে লাভবান হলেও লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছেন সরকার আর আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সৈয়দপুরের আমদানিকারকসহ বৈধ ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ রয়েছে, থানা পুলিশ এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই ব্যবসা। তবে পুলিশের দাবি এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। অভিযোগ পেলে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায়। ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত পথে পার্বতীপুর হয়ে সৈয়দপুরের বিভিন্ন বাইসাইকেলের শো-রুমে ঢুকছে এসব চোরাই পণ্য। পরবর্তীতে এখান থেকেই সেসব সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায়। সূত্র জানায়, ব্যবসা প্রধান সৈয়দপুর শহরে রয়েছে ভারতীয় ও চায়না বাইসাইকেলের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। এসব দোকানে পাইকারি দরে বিক্রি হয় বৈধভাবে আমদানি করা বিভিন্ন ব্রান্ডের বাইসাইকেল। তবে এসব দামে বেশি হওয়ায় স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ীরা আমদানির নামে এলসির কাগজপত্র দেখিয়ে চোরাইপথে আনা ভারতীয় সাইকেল বিক্রি করছে দেদারছে। শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক ও ক্যান্টনমেন্ট রোডস্থ কয়েকটি দোকানে মিলছে এসব সাইকেল। লাইন ধরে সাজানো এসব সাইকেল দেখে বোঝার উপায় নেই যে, কোনটি বৈধ আর কোনটি অবৈধ। পার্বতীপুরের এরশাদ (৪২) ও বাবু ওরফে গৌরসহ (৩৬) সিন্ডিকেটের কয়েকজন সদস্য প্রতিদিন প্রায় ৪০/৫০টি সাইকেল অবৈধভাবে আনছেন এবং কয়েকটি পয়েন্টে প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন। প্রভাবশালী কয়েকটি গ্রুপ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই কাজে জড়িত রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। সৈয়দপুর সাইকেল ও সাইকেল পার্টস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন জানান, সৈয়দপুরসহ আশপাশে চোরাই ভারতীয় সাইকেলের ব্যবসা জমে উঠায় তিনিসহ বৈধ ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। তিনি আরও জানান, তার প্রতিষ্ঠান বৈধভাবে সাইকেল আমদানি করে বছরে কোটি কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব দিচ্ছে। অথচ অবৈধ কারবারে এসব ব্যবসায়ী প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সৈয়দপুরে চোরাইপথে আনা ভারতীয় সাইকেলের ব্যবসা হচ্ছে এটা তার জানা নেই। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন