শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

বন কেটে বনায়ন

প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর ফরেস্ট বিটের সাতখামাইর, বর্মী, পাঠানটেক, উত্তর পেলাইদ পোষাইদ, ছাতির বাজার, বৃন্দাবনসহ বিভিন্ন এলাকায় বন কেটে চলছে বনায়ন কর্মসূচির কাজ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাতখামাইরের বিট কর্মকর্তা রইছ উদ্দিন ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে প্রভাবশালীদের মধ্যে বিতরণ করছেন বাগানের প্লট। সরেজমিন গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বিটের বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিক গজারি বন মূল উৎপাটন করে ওই জমিতে নতুন বাগান লাগানোর পক্রিয়া চলছে। উপকার ভোগীদের নিকট থেকে প্রথম ধাপে ১০-১৫ হাজার টাকা করে নিয়ে প্লট বরাদ্দের তালিকাভুক্ত করেন। পরবর্তীতে প্লটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ওই বিট কর্মকর্তা নতুন করে উপকার ভোগীদের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়ে প্লট বরাদ্দ দিচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, ক্ষেত্রবিশেষে কোন কোন প্লটের মালিকদেরকে ২ লাখ টাকা করে নিয়ে সাতখামাইর মৌজার পোষাই এলাকায় ১৭৯২, ১৭৯৩, ১৭৯৪ দাগের প্লট এলাকায় শতাধিক পাকা বাড়ি নির্মাণের সহযোগিতা করছেন ওই কর্মকর্তা। এমনকি রেক্স, নোভা অটো ব্রিক্স, মাওনা ফ্যাশন, কাজী হ্যাচারিসহ বেশ কিছু শিল্প কারখানার ভিতরের বনের জমি উদ্ধার না করে প্রতি বছর মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই বিট কর্মকর্তা। জানা যায়, সোহাদিয়া ও দাইবাড়ী টেকের জহিরুল ইসলাম, হাসেম, করিম বেপারী, আনিছ, নুর ইসলাম, ভিটিপাড়া এলাকার আসাদ সরকার, নয়ন মিয়া, হালিম, আলমগীর, জাহাঙ্গীর, মোফাজ্জল, রিমি আক্তার, রিটন মিয়া, আজম আলী, ফজলু, জলিল, আজিজুল আবুবক্করের কাছ থেকে সাতখামাইর মৌজার ২২৬৮ ও ২৯৩৭নং দাগে বাঁশ, বেত ও আকাশমনি সৃজিত উডলট বাগানের জন্য সর্বনি¤œ ২০ হাজার ও সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন বিট কর্মকর্তা। ওই বিট অঞ্চলের উপকার ভোগীরা জানান, তাদের সৃজিত বাগানের বড় বড় গাছ, বাঁশ বন দস্যুদের মাধ্যমে কেটে নিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিট কর্মকর্তা রইছ উদ্দিন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিট কর্মকর্তা রইছ উদ্দিন সাতখামাইর এলাকায় দীর্ঘদিন বন খেকুদের সাথে আঁতাত করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। সাতখামাইর বিট কর্মকর্তা রইছ উদ্দিন জানান, অবিলম্বেই জবর দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হবে। আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, এ সমস্ত স্থানে বন হওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় বনায়ন হচ্ছে না। বিট কর্মকর্তার টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন