মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ওমর ফারুক বহিষ্কার

যুবলীগের সঙ্গে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

ইয়াছিন রানা | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম | আপডেট : ১২:১৩ এএম, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

যুবলীগের আসন্ন জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গতকাল গণভবনে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -ফোকাস বাংলা


নতুন যুগে প্রবেশ করলো আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। দুর্নীতি, ক্যাসিনো সংশ্লিষ্টতা, সংগঠন পরিচালনায় সেচ্ছাচারিতা, টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রিসহ নানা অভিযোগে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামী ২৩ নভেম্বর যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে প্রেসিডিয়াম মেম্বার চয়ন ইসলামকে এবং সদস্য সচিব হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। এছাড়া আগামী সম্মেলনে ৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত নেতারা পদে আসতে পারবেন, এর বাইরে কেউ যুবলীগ করতে পারবেন না।

গতকাল গণভবনে যুবলীগের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকাল পাঁচটায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শুরু হয় এবং প্রায় রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সাড়ে চারটার মধ্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, প্রেসিডিয়াম মেম্বার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা মোট ৩৬ জন গণভবনে উপস্থিত হন।

বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। যুবলীগের বয়সসীমা ৫৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।’ এদিকে যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেয়া না হলেও আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে অভিনন্দন জানানো শুরু করে। তবে সর্বশেষ বৈঠক শেষে গণভবন থেকে বেড়িয়ে যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি সাংবাদিকদের জানান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। গঠনতন্ত্রে বয়সসীমা না থাকলেও প্রধানমন্ত্রী ৫৫ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করতে বলেছেন।
এদিকে বৈঠকের আগেই যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ও প্রেসিডিয়াম মেম্বার নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনকে গণভবনে নিষিদ্ধ করা হয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তা ফোন করে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদককে জানিয়েছিলেন। তবে গতকাল গণভবনে প্রবেশের সময় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার শেখ ফজলুর রহমান মারুফ ও শেখ আতিয়ার রহমানকে গণভবনে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচলায় অংশ গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ শামসুল আবেদীন, শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরণ, আবদুস সাত্তার মাসুদ, আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসাইন, আলতাব হোসেন বাচ্চু, চয়ন ইসলাম, ড. আহম্মেদ আল কবির, মোঃ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আলী খোকন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার নিখিল গুহ, শাহজাহান ভুইয়া মাখন, অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু, ডা. মোখলেছুজ্জামান হিরু, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম জাহিদ, আমির হোসেন গাজী, বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, আবু আহম্মেদ নাসিম পাভেল, ফারুক হাসান তুহিন, আসাদুল হক, এমরান হোসেন খান, আজহার উদ্দিন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুবলীগকে গতিশীল করতে সকল পরিবর্তন আনা হবে। সচ্ছ ইমেজের সবাই স্থান পাবেন। এদিকে মাদকসহ নানা অনৈতিক ও অবৈধ কর্মকান্ডে খোদ প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের যতগুলি সহযোগি সংগঠন আছে তাদের সকলের যেন একে একে সম্মেলন হয় সেই পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছি। অনেক সময় নানা কারণে সম্মেলন দীর্ঘায়িত হয়ে যায়। আজকে যুবলীগের সঙ্গে বসেছি৷ পর্যায়ক্রমে সকলের সঙ্গে বসবো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবলীগের সম্মেলন খুব সামনে। সম্মেলনের পূর্বে আমাদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করতে হবে। যাতে করে সম্মেলনগুলি ভালোভাবে সুষ্ঠু ভাবে হয়। সকল সহযোগি সংগঠনের সম্মেলন যাতে নভেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। যাতে আমরা ডিসেম্বরে আমাদের সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন হবে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সম্মেলন হলে সংগঠন চাঙ্গা হয়, সংগঠনের গতি বাড়ে এবং সংগঠন এগিয়ে যেতে পারে। আমাদের সহযোগি সংগঠনগুলি আরও সুসংগঠিত হোক সেটাই আমরা চাই।
যুব সমাজ আরও শিক্ষিত, কারিগরি শিক্ষা এবং ভোকেশনাল টেনিংয়ে তারা আরও দক্ষ হবে। দেশ গড়ায় তারা অবদান রাখবে সেইভাবেই তারা গড়ে উঠবে। সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা নিয়ে দেশপ্রেমে তারা দেশ ও জাতির সেবা করবে সেটাই আমাদের কামনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংগঠনটাকে আরও গতিশীল করা, সুসংগঠিত করা এবং আরও গ্রহণযোগ্য কীভাবে করা যেতে পারে এবং সম্মেলনটা কীভাবে সফর করা যায় তার ওপরেই আমরা আলোচনা করবো। আলোচনা করেই, তাদের মতামত নিয়ে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করা। আসলে আমাদের সময় খুব কম। এতগুলি সম্মেলন হবে, প্রত্যেকটা কমিটির সঙ্গেই আমি বসবো। সকলের সঙ্গেই আমি আলোচনা করবো। স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ তার ডেট ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। তাদের সকলের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করে দিব।
তিনি বলেন, আমরা আটটা বিভাগীয় কমিটি করে দিয়েছি আওয়ামী লীগের। আটটা বিভাগীয় কমিটি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সেখানেও বর্ধিত সভা করা, নেতৃবৃন্দর সাথে বসা। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করে দেওয়া এবং সম্মেলন করার পদক্ষেপ এইগুলি শুরু হয়ে গেছে কাজ। সেই সাথে সাথে আমরা যেটা করছি, আমাদের তৃণমূল পযায় থেকে আমাদের আওয়ামী লীগের সমস্ত কমিটিগুলি আমরা ডাটা বেজ করে আমরা সেটা নিয়ে আসছি, রেখে দিচ্ছি। আমরা প্রতিটি জেলায় অফিস করে, ডাটা বেজ করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যেন আমাদের সংযোগটা হয় সেই ব্যবস্থাটা আমরা করে দিচ্ছি। তার জন্য একটা টিম আওয়ামী লীগ অফিসে কাজ করছে। সেই ভাবেই তারা কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আমরা সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ, মাদক এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান আমরা অব্যাহত রাখবো। এই ক্ষেত্রে যাকেই অপরাধী হবে তাদের কোনো ক্ষমা নেই। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। কারণ আমরা যখন দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই স্বাভাবিকভাবেই কিছু মানুষের ভেতরে একটা লোভের সৃষ্টি হয়। যার ফলাফল আমাদের সমাজটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। কাজেই এই ধরণের অন্যায়-অবিচার বরদাস্ত করা হবে না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সবাই ভালো থাকুক, স্বচ্ছল থাকুক। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হোক সেটা আমরা চাই। কিন্তু অন্যায়ভাবে যদি কেউ কিছু করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এটা একান্তভাবে প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। কারণ যখন একটা পরিবর্তন আসে তখন দেখা যায় কিছু মানুষ হঠাৎ রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যায়। কিছু মানুষ গরিব থেকে যায়। এই আয় বৈষম্যটা যেন না থাকে সে দিকে দৃষ্টি রেখে আমরা একেবারে গ্রামের তৃণমূল মানুষেরও যেন আয় বৃদ্ধি পায়, তারাও যেন স্বচ্ছলভাবে থাকে, তারাও যেন সুন্দরভাবে বাচতে পারে। অর্থাৎ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

যুবলীগের নেতাকর্মীদের সবাইকে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পড়ার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’র পর তাকে নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্টের ওপরে বই বের করা হচ্ছে। ১৯৪৭ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর নামে যত রিপোর্ট আছে, সেগুলোও সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্টগুলোয় প্রায় ৪০ হাজার পাতা ছিল। সব পড়ে মূল কথা দিয়ে মোট ১৪টি খন্ড ছাপানো হবে। এখন পর্যন্ত ৪টি খন্ড ছাপানো হয়েছে। এই রিপোর্টগুলো থেকে সবাই সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে। এসময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যুবকদের সংগঠিত করার লক্ষ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ গড়ে তুলেছিল যুবলীগ; তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ মনিকে।
১৯৭৪ সালে যুবলীগের প্রথম কংগ্রেসে শেখ মনিই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ওই সময় তার বয়স ছিল ৩২ বছর। তখন যুবলীগের গঠনতন্ত্রে ৪০ বছরের একটি বয়সসীমার বিধান ছিল। সাংগঠনিক কার্যক্রমে দক্ষ হিসেবে পরিচিত মনি পঁচাত্তর ট্রাজেডিতে প্রাণ হারান। তারপর বিরূপ রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে ১৯৭৮ সালে যুবলীগের দ্বিতীয় কংগ্রেসে বয়সসীমার বিধানটি বিলুপ্ত করা হয় বলে সংগঠনের নেতারা জানান। ওই কংগ্রেসে যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান আমির হোসেন আমু। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলী পেরিয়ে এখন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমুর বয়স তখন ছিল ৩৮ বছর।

১৯৮৬ সালের তৃতীয় কংগ্রেসে যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মোস্তফা মহসীন মন্টু। তখন তার বয়স ছিল ৩৭ বছর। আওয়ামী লীগ ছেড়ে আসা মন্টু এখন কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন গণফোরামের নেতা হিসেবে পুরনো দলের সমালোচনায় মুখর। ১৯৯৩ সালে যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। এরপর ১৯৯৬ সালের চতুর্থ কংগ্রেসে ৪৭ বছর বয়সে যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আসেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

শেখ মনির ভাই শেখ সেলিম ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। এখন তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীতে রয়েছেন। শেখ সেলিম বিদায় নেওয়ার পর ২০০৩ সালের পঞ্চম কংগ্রেসে ৪৯ বছর বয়সে যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর কবির নানক। নানক মন্ত্রিত্ব ও মূল দল আওয়ামী লীগে পদ পাওয়ার পর ২০০৯ সাল থেকে যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ওমর ফারুক। ২০১২ সালে ষষ্ঠ কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান শেখ মনি ও শেখ সেলিমের ভগ্নিপতি ওমর ফারুক। তারপর থেকে টানা সাত বছর দায়িত্ব পালনে পর এখন বায়াত্তরে পৌঁছেছে তার বয়স।

যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শেখ সেলিম যুবলীগ থেকে বিদায় নিলেও তার প্রভাব সংগঠনটিতে থেকে যায়, আর সেই প্রভাব বলেই যুবলীগের শীর্ষপদে আসীন হন তার বোনজামাই ওমর ফারুক।
গত ছয় বছর ধরে নির্বিঘেœ কাজ করে গেলেও সম্প্রতি ক্যাসিনোকান্ডে বড় ধাক্কা খান ওমর ফারুক, সেই সঙ্গে সমালোচনায় নাকাল এখন যুবলীগও। যুবলীগ নেতাদের কর্মকান্ডে শেখ হাসিনা বিরক্তি প্রকাশের পর গত মাসে ঢাকার ক্রীড়া ক্লাবগুলোতে অভিযান চালিয়ে জুয়ার আখড়াগুলো বন্ধ করে দেয় র‌্যাব, এগুলো পরিচালনায় যুবলীগের নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়টিও প্রকাশ্যে আসে। ক্যাসিনোকান্ডে গ্রেফতার সম্রাটের কাছ থেকে ক্যাসিনোর ভাগ পেতেন বলেও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তার ক্যাসিনো-সম্পৃক্ততায় নড়েচড়ে বসেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের অনেক নেতা।

এছাড়া ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে হাজারও অভিযোগ জমে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। দলীয় পদবাণিজ্যের অভিযোগ, স্বেচ্ছাচারিতা, ইচ্ছামাফিক পদ দেয়া-পদ বাতিল করা ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ ছিল তার নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার। র‌্যাবের অভিযান শুরুর পর ঢাকা মহানগর যুবলীগের শীর্ষনেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের পক্ষে দাঁড়িয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন ওমর ফারুক। পরে সম্রাট গ্রেপ্তার হলে চুপ মেরে যান ওমর ফারুক, তারপর থেকে যুবলীগের কার্যক্রম থেকে সরে থাকছেন তিনি। এসবকান্ডে ওমর ফারুক চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ বিষয়ে বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোয় সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা পাঠানো হয়। নেয়া হয় বাড়তি সতর্কতা। এক পর্যায়ে ব্যাংক হিসাব তলবের পর নিজেকে গুটিয়ে নেন ওমর ফারুক চৌধুরী।

এছাড়া ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকায় যুবলীগের কতিপয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, সহ-সভাপতি আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, কথিত সমবায় সম্পাদক জি কে শামীম, উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান রাজীব প্রমুখ গ্রেফতার হন। এদের যুবলীগ থেকে বহিষ্কারও করা হয়। #

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (14)
Belaeat Hossain ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৪৬ এএম says : 0
ধন্যবাদ, ভয়ের কারন নেই, এই কুলাঙ্গার গুলো দলটাকে তাদের বাবার সম্পত্তি মনে করেছিল। অামরা দলকে ভালবেসে কোথাও স্থান পাইনা, কারন অামাদের টাকা নাই, বাবা চেয়ারম্যান না, মন্ত্রী না, এম,পি না, সরকারী বড় কোন কর্মকর্তা না তাই অামাদের কোন চাওয়া পাওয়ার মূল্য নেই।
Total Reply(0)
Fazley Nikkon ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৪৭ এএম says : 0
ওএতদিন তিনি ই সবাইকে বহিস্কার করেছেন, আজ ঊনাকেই বহিস্কার করা হয়েছে। এবার ঊনি আঙুল ...
Total Reply(0)
Kazal Bonik ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৪৭ এএম says : 1
শুধু বহিষ্কার করলে হবে? তাকে কারাগারে সম্রাটের নিকট পাঠাতে হবে এবং সেখানে বসে বসে ....
Total Reply(0)
Abdul Hafiz ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৪৭ এএম says : 0
তাকে আইনের আওতায় এনে ...দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি সরকারের কাছে।
Total Reply(0)
Md Ziaur Rhaman ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৪৮ এএম says : 0
মাননীয় প্রধানমত্রী আপনাকে ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
Mohammad Barkat Shafi ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৪৮ এএম says : 0
Sad for Awamileague. Honourable Prime minister will not tolerate any falthy activities. She will lock up every body who are involve with such kind of work
Total Reply(0)
Saim Mahmud Sagor ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৪৮ এএম says : 0
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
Total Reply(0)
Mokammel Hossain ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৪৯ এএম says : 0
ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এমন সিদ্ধান্ত জাতির প্রত্যাশা ছিল।
Total Reply(0)
Md Yusuf Ali Khan ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৪৯ এএম says : 0
উনাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক এবং বিচারের ব্যাবস্থা করা হোক । ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
Wasim Jacks ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৪৯ এএম says : 0
শুধু বহিষ্কার । এতো টাকা অবৈধভাবে ইনকাম করলো তার কি হবে ??
Total Reply(0)
Murshed Pollu ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৪৯ এএম says : 0
দুর্নীতি আর চাঁদাবাজির শাস্তি কি হয় দেখার অপেক্ষায়
Total Reply(0)
NK Rana ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৫০ এএম says : 0
শুধু বহিস্কার করলে হবেনা,,,,তাদের দুর্নীতির বিচার করতে হবে,,,,,
Total Reply(0)
llp ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:০১ এএম says : 0
BAL should be expelled to Kurdistan.
Total Reply(0)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:২৯ এএম says : 0
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের দলিয় নেতা কর্মিদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী কন্ঠ বঙ্গবন্ধুর আওয়াজের কন্ঠধ্বর্নী বিশ্ব মানবতার মায়ের কন্ঠে। এই অভিযান দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি শান্তি শৃংখলার স্বার্থে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সাথে দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন দোয়া অবশ্যই আছে। এই অভিযান এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামের মহা নায়ক বিশ্বের প্রভাবশালী নেতা দক্ষিণ এশিয়ার লৌহ মানবী রাষ্ট্র প্রধান মা জননী আপনাকে শত সহস্র সালাম। আলোচনা সমালোচনা কারি পয্যালোচনা দলমত নির্বিশেষে সবাই মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কে এই সাহসী সিধান্তের জন্যে অভিনন্দন জানান। এই অভিযান আইন শৃংখলা বাহিনীর কঠিন পরিক্ষা। রাজনৈতিক প্রভাবশালী জাতীয় নেতৃবৃন্দ গভীর ভাবে চিন্তা গঠন মুলক পরিকল্পিত অভিযান পরিচালনা করুন। মধ্যে পন্থা অভলম্বন করুন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত ক্ষুদ্রা দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশের সংগ্রামের পকৃত লড়াইয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী হাত কে শক্তিশালী করুন। যখনী এই রকম অভিযান হয়। দলের বিতর বাহিরে গভীর ষড়যন্ত্র হয়। সাবধান চোখ কান খোলা রাখতে হবে। দেশের অর্থনীতি উন্নয়ন অগ্রগতি বিশ্বের প্রভাবশালী নেতা হওয়াটাই এখন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারি দের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা ও রাষ্ট্রের নিথি নিদ্ধারকরা অবশ্যই সচেতন থাকবেন আশাকরি। আল্লাহ আপনাদের সহায়।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন