শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

সন্তান নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বাদী

প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রাজাপুর (ঝালকাঠি) উপজেলা সংবাদদাতা
ঝালকাঠির রাজাপুরের শুক্তাগড় ইউনিয়নের জগাইরহাট গ্রামের মোফাজ্জেল হাওলাদারের ছেলে ৩ মামলার পলাতক আসামির বাদল হাওলাদার (৩০) বিদেশ পাড়ির প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে মামলার বাদী তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম অভিযোগ করেছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে নুরুন্নাহার বেগম অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করত। পরে নিরুপায় হয়ে স্বামী বাদলের বিরুদ্ধে ১৪ সালে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ও পারিবারিক জজ আদালতে ২টি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নুরুন্নাহার বেগমকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় গত ২৯/০৩/১৫ সালে রাজাপুর থানায় আরও একটি মামলা করে। বর্তমানে আদালতের ও রাজাপুর থানার ওই দুই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। নুরুন্নাহার বেগম আরও বলেন, বর্তমানে বাদল দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতিমাকে নিয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগদা ইউনিয়নের খেজুরিয়া গ্রামের শ^শুর জাকির হাওলাদারের বাড়িতে বসবাস করছেন। সেখানে থেকেই সে বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমতাবস্থায় নুরুন্নাহার বেগম তার ৫ বছর বয়সী শিশু ইসরাত জাহান শিমুকে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজাপুর থানার এসআই আব্দুল কাইউম জানান, আসামি বাদল দীর্ঘদির ধরে পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। বাদলকে দ্রুত গ্রেফতার ও বিদেশ গমন ঠেকাতে পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নুরুন্নাহার বেগম।
ধর্ষণ করতে গিয়ে দায়ের কোপে হাসপাতালে
রাজাপুরে এক গৃহবধূকে রাতে ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করতে গিয়ে মোবাশে^র হাওলাদার (৩৫) নামে লম্পট দায়ের কোপ খেয়ে রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছে। উপজেলার পূর্ব বামনখান গ্রামের গত ১৬ জুনের এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় অভিযোগ দিলে গতকাল শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পরির্দশন করেছে পুলিশ। মোবাশে^র হাওলাদার ওই গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে। পূর্ব বামনখান গ্রামের ওই গৃহবধূ অভিযোগ করে জানান, পূব বামনখান গ্রামের মোবাশে^র হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন তার স্বামী একটি দাওয়াতে গেলে সেই সুযোগে রাত পৌনে ১০টার দিকে মোবাশে^র হাওলাদার এসে দরজা খুলতে বললে তাকে বার বার চলে যেতে বললেও সে কৌশলে দরজা খুলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় নিজের ইজ্জত রক্ষা করতে মোবাশ্বেরকে দা দিয়ে কোপ দেয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন