আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে যুবলীগের ৫৫ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে করে কেন্দ্রীয় কমিটির বেশির ভাগ প্রভাবশালী নেতা এবং ৭ম কংগ্রেসে চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদের বেশির ভাগই আর যুবলীগেই থাকতে পারছেন না। দীর্ঘদিন যুবলীগ করলেও চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক পদের শক্তিশালী প্রার্থীদের বয়সই যেন কাল হলো।
যুবলীগ সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদসহ সংগঠনের সভাপতিমন্ডলীর বেশির ভাগ সদস্যের বয়স ষাটোর্ধ্ব। ২৬ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যের মধ্যে মাত্র চারজনের বয়স ৫৫ বছরের নিচে। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকদের সবাই ৫৫ বছরের নিচে এবং সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে দুজন ৫৫ বছরের বেশি। ৫৫ বছরের নিচে প্রেসিডিয়াম মেম্বাররা হলেন- আতাউর রহমান, অ্যাড. বেলাল হোসাইন, অ্যাড. মোতাহার হোসেন সাজু ও নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। এর মধ্যে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনকে গণভবনে নিষিদ্ধ করায় স্বাভাবিকভাবেই তিনি বাদ পড়াদের মধ্যে রয়েছেন। প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে যাদের বয়স ৫৫ বছরের বেশি তারা হলেন, ড. মীজানুর রহমান, শেখ ফজলুর রহমান মারুফ, চয়ন ইসলাম, শেখ শামসুল আবেদীন, ড. আহমদ আল কবির, শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরণ, আবদুস সাত্তার মাসুদ,জাহাঙ্গীর কবির রানা, আলতাব হোসেন বাচ্চু, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, সাইদুর রহমান শহিদ, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আলী খোকন, এনায়েত কবির চঞ্চল, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার নিখিল গুহ, শাহজাহান ভূঁইয়া মাখন, ডা. মোখলেছুজ্জামান হিরু, সৈয়দ মাহমুদুল হক।
যুগ্ম সম্পাদকদের মধ্যে সবার বয়স ৫৫ বছরের নিচে। তারা হলেনÑ মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, মঞ্জুর আলম শাহীন, অ্যাড. মামুন অর রশীদ, সুব্রত পাল, নাসরিন জাহান চৌধুরী শেফালী। সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে এস এম জাহিদ, আমির হোসেন গাজীর বয়স ৫৫ বছরের বেশি। ৫৫ বছরের কম বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, আবু আহম্মেদ নাসিম পাভেল, ফারুক হাসান তুহিন, এমরান হোসেন খান।
আরও জানা গেছে, সহ-সম্পাদক ২০ জনের মধ্যে অধিকাংশই পঞ্চাশের কোটা পার করেছেন। শীর্ষ পদে আলোচনায় থাকা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলুর বয়স ৪১ এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এন আই আহমেদ সৈকতের বয়স ৩৯ বছর।
সূত্র জানায়, বয়স সীমা ৪৫ বছর নির্ধারণ করা হলে প্রেসিডিয়াম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সবাই বাদ পড়তেন। বয়স সীমা নিয়ে যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সম্মেলনর তারিখ ঘোষণার পর থেকেই নেতা হতে অনেকে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। তারা এখন হতাশার মধ্যে পড়ে গেছেন।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন আগামী ২৩ নভেম্বর। এ সম্মেলন পর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মহানগর উত্তর যুবলীগের শীর্ষ পদে আলোচনায় রয়েছেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন সরকার, উপ-দফতর সম্পাদক এ এইচ এম কামরুজ্জামান কামরুল।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের শীর্ষ পদে আলোচনায় আছেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সহ-সভাপতি মইনুদ্দিন রানা, সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান পলাশ, দফতর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ, উপ-দফতর সম্পাদক আরিফুর রহমান।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ বলেন, সব দিক বিবেচনা করেই সাংগঠনিক নেত্রী বয়সের সীমা নির্ধারণ করেছেন। এর মধ্য থেকেই সংগঠনের যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। ইতোমধ্যেই সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়কের সঙ্গে মিলে প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন