দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির গেটে দাদন ব্যবসায়ীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির শ্রমিকসহ এলাকাবাসী।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় কয়লা খনির গেটের সামনে ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, কয়লা খনির সন্নিকটে ধুলাউধাল গ্রামের জাকের হোসেনের ছেলে আনারুল ইসলাম একজন চিহ্নিত দাদন ব্যবসায়ী। তার দাদন ব্যবসার রোষানলে পড়ে অনেকে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, দাদন ব্যবসায়ী আনারুলের মিথ্যা মামলায় এখন বিপাকে পড়েছে, খনির শ্রমিকসহ অনেকে, এই জন্য তিনি এই দাদন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেন।
ভুক্তভুগী খলিলপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মাহমুদ বলেন, সে তার ব্যাংকের একটি ফাকা চেক জমা রেখে দাদন ব্যবসায়ী আনারুলের নিকট এক লাখ টাকা কর্জ নিয়েছিল, সেই টাকা সুদসহ তিন লাখ টাকা পরিশোধ করার পরেও তার নামে ওই ফাকা চেক দিয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার মামলা দিয়েছে। একই কথা বলেন, সুলতানপুর গ্রামের ভুক্তভুগী আজিবর রহমানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, তিনি বলেন, তার ৬০ হাজার টাকা কর্জ নেয়া ছিল, তিনি সুদসহ দুই লাখ চাকা পরিশোধ করার পরেও, তার নামে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার মামলা দিয়েছে।
মানববন্ধনে একই কথা বলেন, মামলার শিকার সুলতানপুর গ্রামের মেনাজ উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক, সরদারপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মামুন, দক্ষিন পলামবাড়ী গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে রিপন, কুশলপুর গ্রামের আজিজ মন্ডলের ছেলে আব্বাস আলী, পাটিকাঘাট গ্রামের সোলাইমানের ছেলে আব্দুল মাবুদ, পলাশবাড়ী গ্রামের বসির উদ্দিনের ছেলে তাইজুল ইসলাম, একই এলাকার আব্দুস সামাদ, আরিফুর ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি। ভুক্তভোগীরা বলেন, দাদন ব্যবসায়ীর মামলার ভয়ে এখন তারা ঘরছাড়া হয়ে পড়েছে, তারা কর্জের টাকার থেকে কয়েকগুন বেশি টাকা পরিশোধ করার পরেও এখন নতুন করে মামলায় পড়েছে। এজন্য তারা উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আনারুল ইসলাম বলেন, তার নিকট প্রত্যেকের ব্যাংকের চেক রয়েছে, চেকের বিনিময়ে তিনি টাকা কর্জ দিয়েছেন, কিন্তু সময়মত টাকা পরিশোধ না করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
এদিকে এই দাদন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পার্বতীপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভুগীরা।
এই বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম প্রামানিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, কিন্তু আদালতে মামলা থাকায় বিষয়টি নিয়ে বেশিদুর এগুতো পারছিনা। তবে মামলাগুলো আপোস করার পরামর্শ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন