শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে সরাতে আজাদি মার্চের ঘোষণা, সতর্ক সরকার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৩১ পিএম

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নির্ধারিত দিনেই আজাদি মার্চ শুরু হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির কট্টর ইসলামপন্থী দল জমিয়াত উলেমা-ই ইসলামের প্রধান মাওলানা ফজলুর রেহমান। তার অভিযোগ সরকার এই আন্দোলন থামাতে নানা কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা ফজল বলেন, জমিয়াত উলেমা-ই ইসলামের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করে আজাদি মার্চকে দমিয়ে রাখা যাবে না। সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের আপোষেও যাবেন না বলে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সাংবাদিকদের মাওলানা ফজল বলেন, সরকার আমাদের থামাতে পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে দিয়েছে। যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। আমাদের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু এতে শুধু কলোহ বাড়বেই বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি পাকিস্তানের বিরোধী দল জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলামের প্রধান মাওলানা ফজল আগামী ৩১ অক্টোবর ইসলামাবাদে সরকারবিরোধী ‘আজাদি মার্চ’-এর আহ্বান জানিয়েছেন। তবে ইমরান খান জানিয়েছেন, তিনি এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো চাপ নিচ্ছেন না।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজাদি মার্চে জঙ্গি গোষ্ঠিগুলো আত্মঘাতী বোমা হামলা চালাতে পারে। জমিয়াত ছাড়াও বিরোধী দলীয় নেতাদের ওপর হামলা হতে পারে। আর তাই সতর্কতামূলক সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার।
মাওলানা ফজলের কর্মসূচির কড়া সমালোচনা করেছেন পাক বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী গোলাম সারওয়ার। তিনি বলেছেন, প্রতিবাদ করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু আমরা রাজধানী ইসলামাবাদে কোনো সশস্ত্র গ্রুপকে অনুমোদন দেবো না।
এদিকে মাওলানা ফজলের সরকারবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে পাকিস্তানের বেশ কিছু বিরোধীদল। এরমধ্যে রয়েছে বড় দুই দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ)। দলগুলো আগামী সপ্তাহে পৃথক দিনে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।
আজাদি মার্চকে সামনে রেখে বড় ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগকারী বাহিনীগুলো। প্রস্তুত করা হচ্ছে দাঙ্গা পুলিশ। দফায় দফায় চালানো হচ্ছে মহড়া। রাওয়ালপিন্ডিতে দাঙ্গা পুলিশ জল-কামান, লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নিরাপত্তা বাহিনীকে বিভিন্ন কৌশলগত দিকের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। বিশেষ বাহিনীর অতিরিক্ত তিন হাজার পুলিশকে নিয়ে আসা হয়েছে রাজধানী ইসলামাবাদে। এ নিয়ে পুলিশ বলছে, কাউকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেয়া হবে না। এ জন্য প্রস্তুত রয়েছি আমরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Monir ২৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:০১ পিএম says : 0
শুরু হয়ে গেল ইহুদি খ্রিস্টানদের চক্রান্ত!
Total Reply(0)
মোঃ আককাছ আলি মোল্লা ২৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:০৪ পিএম says : 0
চোর বাটপারদের কথা মত আন্দোলন করিবেননা।একটিমাএ সরকার আজ পযর্ন্ত কথা বলেছে মোসলমানদের পক্ষে।আর সে হলো ইমরান খান।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন