শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

প্রতিবন্ধী চার কন্যার মানবেতর জীবন

ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

হতদরিদ্র দিনমুজুর ইব্রাহিম আলীর প্রতিবন্ধী চার কন্যা পারভীন আক্তার (৩৫), বিউটি আক্তার (২০), তাপুসি (১৫) ও শাবনুর (১১) কে নিয়ে। তাদের মা শামছুন্নারও অনেকটা মানসিক প্রতিবন্ধী। বিউটি ও তাপুসি প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও অন্য দুইজেন প্রতিবন্ধী কার্ডের ব্যবস্থা এখনো হয়নি। উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের চৌরঙ্গীপাড় গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারের ৫ কন্যা সন্তানের মধ্যে ৪ জনই শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় পরিবারটি মানবেতর জীবন যাপন করছে।

সামনে ছোট পরিসরের সেঁতসেঁতে আঙিনা। এখানেই পা বিছিয়ে দিয়ে বসে আছেন পিতা ইব্রাহীম (৭০)-এর শারীরিক ৪ প্রতিবন্ধী মেয়ে মিনা পারভীন (৩৫) বিউটি (২০) তাপসী (১৫) শাবনূর (১১)। এরা হাটতে পারে না কেউ, গড়িয়ে গড়িয়েই চলাফেরা করে তারা। এভাবে চলতে চলতে ৪ বোনের পাগুলোতে কালচে দাগ হয়ে আঙ্গুলগুলো থেতলে হয়ে গেছে।

একমাত্র উপার্জন ক্ষম হতদরিদ্র পিতা দিনমুজুর ইব্রাহিম আলীর অন্যের কাজ করে সংসার চালায়। প্রতিবন্ধী চার কন্যার দেখভালের কারনে এখন সে আর কোন কাজে যেতে পাছেনা। প্রতিবন্ধী মেয়েদের গোসল, খাওয়া দাওয়া, প্রকৃতির কাজ সব কিছু সারাতে হয় পিতা ইব্রাহিমের। তিন মাস পর পর প্রতিবন্ধী ভাতা ও মানুষের আর্থিক সহায়তায় অর্ধহারে অনাহারে চলে তাদের দিনাতিপাত।
প্রতিবন্ধী কন্যা বিউটি আক্তার বলেন, স্যার আমরা অসহায় ও দুঃখি মানুষ, খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি, সবার সহযোগীতা ছাড়া আমাদের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে।

দিনমুজুর পিতা ইব্রাহিম আলী বলেন, জন্মের এক বছর পর থেকে সন্তানদের হাত বাঁকা হয়ে আস্তে আস্তে ওদের শরীরে শক্তি হারিয়ে ফেলে, মাইনসের কাজ কইরা যা পাইছি তা দিয়া অনেক চিকিৎসা করছি কোন কাম হয়নি, ডাক্তররা কইছে ভালো হবে না।
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. এহছানুল হক বলেন, পরিবারটির খোঁজ খবর নিয়ে মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও দুই প্রতিবন্ধী মেয়েকে প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা হয়েছে অন্য দুজনেরও ভাতার ব্যবস্থাসহ সরকারি সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন