বিরামপুর উপজেলার দিন দিন বেড়েই চলছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য। শুধু দাম একটু কম চালের। পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ সবকিছুতেই আগুন। আমদানি কম অজুহাতে ক্রেতাদের বোকা বানিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়াচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। পেঁয়াজের ঝাঁজের আগুন যেন থামছে না। দিশেহার নিম্নআয়ের মানুষেরা।
এখন কার্তিক মাস। এ মাসে মানুষের হাতে কাজ একটু কম থাকে। ধানের উপর নির্ভরশীল গ্রামের কৃষক এখন কর্মহীন। পরিবার পরিজন নিয়ে নিদারুণ কষ্টে সময় পার করতে হচ্ছে তাদের। সাথে লাগামহীন সবজির বাজারের উর্ধ্বগতি। বাজারে কমছেনা পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ঝাল, হলুদসহ নান প্রকার মসলা দাম। প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম যে যার মত করে করে দাম চাচ্ছে, সেই দামে ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকার হাট-বাজারে পণ্য কিনতে গিয়ে সাধারণ মানুষ পড়তে হচ্ছে বিপাকে। দাম চড়ার কারণে সাধের জিনিস কিনতে পরেছেনা ক্রেতারা।
বিরামপুর পৌর বাজারে আসা রিকশাচালক মোরসেদুল ইসলাম জানান, সারাদিন রিকশা চালিয়ে ৩শ’ টাকা রোজগার করি, বাজারে এসে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ কিনতেই টাকা থাকেনা অন্য বাজার কিনি কিভাবে। বর্তমানে বাজারে শুধু চালের দাম কম, ভাত থাকলে কি খাওয়া যায়। পরিবার পরিজন নিয়ে কোনো মতে জীবন ধারন করতে হচ্ছে বলে জানান।
বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউপির খিয়ার তেঘরিয়া গ্রামের চাষী জহুরুল ইসলাম জানান, শুধু ধান আবাদ করে সারা বছর সংসার চালতে হয়। ৫ শ’ কিংবা হাজার টাকার বাজার একদিন হয় না। বাজারে যেভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ে, একবার বাড়লে আর কমেনা, রেওয়াজ এর পাকে পড়ে নিদারুন কষ্ট পরিবার চালাতে হচ্ছে বলে জানান।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আদা ১৭০টাকা, রসুন ১৮০ টাকা, পেয়াজ ১১০ টাকা, ঝাল ২৪০ টাকা, ও মৌসুমী শাকসবজির করলা ৮০ টাকা, বেগুন ৪৫, কচুরবই ৫০টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, ফুলবপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, ও আলু ২৮ টাকা দারে বিক্রি হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন