রাজবাড়ীর গৌতমপুর হতে জৌকুড়া পর্যন্ত সরকারি জল মহাল লীজ নিয়ে বিপাকে পরেছেন ইজারাদার। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালি একটি মহল ভয়ভীতি প্রদর্শন করে দিনের পর দিন মাছ লুটে নিচ্ছে। এতে আদালতে প্রতিকার চাওয়ার পর আদালত ওই নদীতে চিন্থিত ১২ জন জেলেকে মাছ ধরায় নিশেধাজ্ঞা আরোপ করলেও থেমে নেই মাছ শিকার। এ ব্যপারে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন করেছে জল মহালটির ইজারাদার খানগঞ্জ ও চন্দনী ইউনিয়ন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আল আমিন।
গত বুধবার সকালে গৌতমপুর হতে জৌকুড়া জল মহালে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ১০ থেকে ১৫ জনের একদল জেলে ঘের জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে। পাশের দাড়িয়ে আছে ওমর আলী নামের প্রভাবশালি এক ব্যক্তি।
এ সময় ওমর আলী জানান, আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীদের নির্দেশে এখান থেকে মাছ নিতে এসেছি। তবে আমরা কোন টাকা পয়সা নেই না। নিয়ম রয়েছে জাল যার জলা তার তাই এই এলাকার জেলেরা নদী থেকে মাছ শিকার করে।
খানগঞ্জ ও চন্দনী ইউনিয়ন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আল আমিন জানান, চলতি বছরের মার্চ মাসে ভুমি মন্ত্রনালয় ৬ বছরের জন্য আমার নামে জল মহালটি ইজারা দেয়। কিন্তুু এলাকার কিছু অসাধু লোক জল মহালটি দখল করার চেষ্টা করে আসছে। যে কারনে আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর প্রতিকার চেয়ে পত্র দিয়েছি। এমনকি ১২ জন জেলেকে চিন্থিত করে আদালতে মাছ ধরার ব্যপারে নিশেধাজ্ঞা চাওয়ার পর আদালত নিশেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসিনা পারভীন (নিলুফা) জানান, এ বিষয়টি আমি ভালোভাবে জানি না। যতটুকু শুনেছি ওই এলাকার জেলেরা মাছ শিকার করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন