বরগুনার আমতলী পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের একটি ভাড়া বাসার ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে আইনজীবীর স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী মোসাঃ রাবেয়া বেগম (দৃপ্তি) (৫৫)। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে।
পরিবার সূত্রে জানাগেছে, আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের আইনজীবী এ্যাড. এম. ইসহাক বাচ্চু স্ত্রী মোসাঃ রাবেয়া বেগম (দৃপ্তি) ও একমাত্র সন্তান কলেজ ছাত্রী ইসরাত জাহান ইভাকে নিয়ে হাসপাতাল রোডের কামাল তালুকদারের বাসার দোতলায় ভাড়া থাকেন। ঘটনার দিন সকালে কোন এক সময় সবার অগোচেরে একটি রুমের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ সময় বাসার সকলে ঘুমিয়ে ছিলেন। স্বামী ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে না দেখে দরজা খুলতে গিয়ে দেখে বাহির থেকে দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করার পরে পাশের রুমে থাকা মেয়ে ইভা এসে দরজা খুলে দেয়। মেয়েকে ওর মায়ের কথা জিজ্ঞেষ করায় সে বলে আমার রুমে আসেনি। পরে ঘরের আর একটি রুমের দরজা খুলে স্ত্রীকে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে মেয়ে ও স্বামী চিৎকার দেয়। স্থানীয়রা আমতলী থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে আমতলী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একমাত্র সন্তান কলেজ ছাত্রী ইসরাত জাহান ইভা কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, আমার মা বাবাকে রুমে ভিতরে রেখে বাহির থেকে দরজা আটকিয়ে পাশের রুমে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য রাবেয়া বেগম (দৃপ্তি) গত ২ বছর পূর্বে সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী অবস্থায় ছিলেন। এরপর থেকে তিনি নানাবিধ শারিরীক ও মানুষীক সমস্যায় ভুগতেছিলেন। গত সপ্তাহেও তিনি স্বামীকে নিয়ে ঢাকা থেকে চিকিৎসা করে আসছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন