মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামি পক্ষের অব্যাহত চাপ, নানা ধরণের অত্যাচার নির্যাতন, ভয়-ভীতি প্রদর্শণ ও প্রাণনাশের হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে হত্যা মামলার বাদী ও তার পরিবার। ঘটনাটি ঘটছে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটী ইউনিয়নের কাকুরিয়া মাছিম গ্রামে।
কাকুরিয়া মাছিম গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র শ্যামপুর নূরানী মাদরাসার শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ওরফে সোনা মিয়ার (৫০) সাথে পল্লী বিদ্যুতের খুটি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়াকে কেন্দ্র করে তারই বড় ভাই সিরাজুল ইসলামের পুত্র মাছুম বিল্লাহ্র বিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে ২৭ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে আমিনুল ইসলাম সোনা মিয়া মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা তারই ভাতিজা মাছুম বিল্লাহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে সাথে নিয়ে ভোগাই নদীর পাড়ে তার পথরোধ করে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক আহত করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আশংকাজনক অবস্থায় সোনা মিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে নেত্রকোনা পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সে মারা যায়।
এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী কাকুরিয়া মাছিম উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে মাছুম বিল্লাহ্র নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামি করে কলমাকান্দায় থানায় ৩০ আগস্ট একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি মাছুম বিল্লাহকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। সোনা মিয়া হত্যাকান্ডের প্রায় ২ মাস অতিবাহিত হলেও মামলার অন্যান্য আসামিদের চিহ্নিত এবং গ্রেফতার করতে না পারায় ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে নিহতের পরিবারে এক ধরনের হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। অপরদিকে হত্যা মামলার আসামি পক্ষের লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদী ও তার ছোট ছোট ছেলে মেয়ের উপর অব্যাহত চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি নানা ধরনের অত্যাচার নির্যাতন, ভয়-ভীতি প্রদর্শণ ও প্রাণনাঁশের হুমকি দিয়ে আসছে। এতে করে মামলার বাদী ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন