রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার নিভৃত পলী পাঁচগাছি ইউনিয়নের আমোদপুর গ্রামে বিগত ১৯৯৯ ইং সালে স্থাপিত আমোদপুর কলেজ দীর্ঘ বিশ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি। মহাবিদ্যলয়ের জন্য নির্মিত আধাপাকা বিশাল ঘরটি বর্তমানে পরিত্যক্ত আর মাঠটি গো চারম ভুমিতে পরিনত হয়েছে। ভৌগলিক অবস্থানের দিক দিয়ে আমোদপুর কলেজটি এমপিও ভুক্ত হবার যোগ্যতা রাখে। এর চতুর্পাশে দশ কি. মি. এর মধ্যে কোন কলেজ নেই। নেই কোন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এলাকার দরিদ্র্য পরিবারের ছাত্র ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য পাশবর্তী উপজেলায় বা পীরগঞ্জ উপজেলা সদরের মেস অথবা বাসা বাড়া নিয়ে অতিকষ্টে পড়ালেখা করে। যে ব্যয়ভার বহনের সাধ্য অনেকেরই নেই। এ কারনে এসএসসি পাশের পর অনেকেই বাধ্য হয়ে ঝরে পড়ে। সরেজমিন পরিদর্শনকালে এলাকাবাসী জানায়, বিগত ১৯৯৯ইং সালে স্থানীয় লোকজন উদ্যোগ নিয়ে দেড় একর জমির উপর আমোদপুর কলেজ স্থাপন করে। নির্মান করা হয় বিশাল আধাপাকা ঘর। শিক্ষক নিয়োগ, ছাত্র ছার্ত্রী ভর্তি ক্লাস শুরুসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রমও পরিচালিত হয়। কলেজটিকে কেন্দ্র করে প্রত্যন্ত পল্লী আমোদপুর বাজার জমজমাটভাবে গড়ে উঠে। এদিকে দেড় বছরের মাথায় এক পর্যায়ে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় আমোদপুর কলেজের এক কি. মি. দুরে জাহাঙ্গিরাবাদ বাজারে প্রতিযোগিতামূলক আরও একটি কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। ফলে কলেজের গতিতে ভাটা পড়তে শুরু করে। কয়েক বছরের মধ্যেই এর যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। শিক্ষক কর্মচারিরা বাধ্য হয়ে নিজেদের সুবিধে মতো স্থানে চলে যায়। অনেকেই বাধ্য হয়ে বেকারত্বে পথে পা বাড়ায়। বর্তমানে কজেটি অযতœ আর অবহেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বিশাল মাঠিটি এখন গো চারম ভুমি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এদিকে প্রতিযোগিতা মুলক জাহাঙ্গিরাবাদে স্থাপিত কলেজটিও এক সময় বন্ধ হয়ে যায়। আবারও আমোদপুর কলেজটি শিক্ষার্থীদের পদ চারনায় মুখরিত হবে, জমজমাট হয়ে উঠবে আমোদপুর বাজার, সেই সাথে এলাকার দরিদ্র পরিবারের সন্তানরা বিশেষ করে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ পাবে, এমনটাই আশা এলাকাবাসীর। এজন্য বর্তমান সরকার এর নেক নজরও আশা করছেন তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন