শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

প্রত্যেক আইএস যোদ্ধাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে : তুরস্ক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৫০ পিএম

তুরস্কের হাতে আটক আইএস যোদ্ধাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। সোমবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোইলু বলেছেন, নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করা হলেও এসব বিদেশি যোদ্ধাদের ফেরত পাঠানো হবে। এদের বিচারে ইউরোপীয় দেশগুলো নতুন ধরণের আন্তর্জাতিক আইন বানাচ্ছে অভিযোগ করে এ বিষয়ে সতর্ক করে দেন তিনি।
আইএসের হয়ে লড়াই করা বিভিন্ন দেশের প্রায় ১২০০ নাগরিক বর্তমানে তুরস্কের কাছে আটক রয়েছে। এছাড়া উত্তরপূর্ব সিরিয়ায় সাম্প্রতিক অভিযানে আটক হয়েছে আরও ২৮৭ আইএস সদস্য। সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগ দেওয়া নিজেদের নাগরিকদের ফেরত নিতে প্রায়ই অস্বীকৃতি জানায় ইউরোপীয় দেশগুলো। এছাড়া অনেকের নাগরিকত্বও বাতিল করেছে এসব দেশ। তবে তুরস্ক বারবারই তাদের নিজেদের নাগরিকদের ফেরত নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
গতকাল সোমবার (৪ অক্টোবর) তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে যারা আছে তাদের আমরা ফেরত পাঠাবো কিন্তু ওইসব দেশ এখন নতুন খেলা খেলছে: তাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে নিচ্ছে’। ইউরোপীয় দেশগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তারা বলছে তাদের (আইএস যোদ্ধা) যেদেশে ধরা হয়েছে সেই দেশে বিচার করতে হবে। আমার ধারণা এটা নতুন ধরনের আন্তর্জাতিক আইন’। ‘এটা মেনে নেওয়া সম্ভব না। আমরা আমাদের হাতে থাকা দায়েস (আইএস) সদস্যদের তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠাবো, তাতে তাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করা হোক বা না হোক’, বলেন তিনি।
গত মাসে সিরিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চলে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের (এসডিএফ) বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। এসডিএফ-ভুক্ত অন্যতম গোষ্ঠী ওয়াইপিজিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিবেচনা করে আঙ্কারা। তবে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের আইএস বিরোধী লড়াইয়ের অন্যতম মিত্র ওয়াইপিজি। উত্তরপূর্ব সিরিয়ার বিভিন্ন কারাগারে বন্দি রয়েছে হাজার হাজার আইএস সদস্য। এসব কারাগারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এসিডএফ’র কাছে। তুরস্কের অভিযোগ আঙ্কারার সাম্প্রতিক অভিযানের মুখে বহু আইএস বন্দিকে ছেড়ে দিয়েছে এসডিএফ।
সোমবার তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোইলু বলেছেন, ছেড়ে দেওয়া যেসব বিদেশি আইএস সদস্যকে আবারও গ্রেফতার করা হবে তাদেরকে উত্তরপূর্ব সিরিয়ার জারাবøুস, আল-বাব, আজাজ ও আফরিনসহ তুরস্কের নিয়ন্ত্রিত এলাকার কারাগার বা বন্দি শিবিরে রাখা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন