আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের দরগাহপুর-তেঁতুলিয়া সড়ক নির্মাণ কাজের শ্রমিক ও কন্ট্রাক্টরের প্রতিনিধি কাজ শেষ না করেই এলাকা ছেড়ে উধাও হয়ে গেছে। ফলে ৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও কাজ শেষ না হওয়ায় এলাবাসী চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।
দরগাহপুর ইউনিয়ন পরিষদ অফিস হতে তেঁতুলিয়া বাজার, ভায়া সোনাই আরএনজিপিএস কাম সাইক্লোন শেল্টার কানেক্টিং রোড় নির্মাণ কাজের টেন্ডার পান ঠিকাদার ওয়াই এ খান। ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দে সড়কের ৩ কি.মি. কাজের ওয়ার্ক অর্ডার পান উক্ত ঠিকাদার। ২০১৭ সালের শুরুর দিকে কাজ শুরু করা হয়। ২ বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৮ সালের শেষের দিকে কাজ সম্পন্ন করার কথা। কিন্তু ২ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনো কাজটি মাঝ পথে পড়ে আছে। বালি দিয়ে বেড তৈরি ও বালি-খোয়া ফেলানোর কাজ শেষ হয়েছে। এরপর কেবল মাত্র খোয়া ফেলে রুলার দিয়ে ফিনিশিং করার কাজ শুরু করার কথা। কিন্তু কিছু কাজ করার পর অজ্ঞাত কারনে সে কাজ শেষ না করেই হঠাৎ করে সাইটে দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারের প্রতিনিধি শ্রমিকদের নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন। ৫/৬ মাসের মধ্যে তাদের কোন খোঁজ মেলেনি সাইটে। অসমাপ্ত সড়কে পায়ে হেটেও মানুষ চলতে পারছিলনা, অনেক দেন দরবার করার পর সামান্য রুলিং এর ব্যবস্থা করা হলেও তা যথাযথ ছিল না।
আবার তারা আসবে, বাকি কাজ সম্পন্ন করবে এমন বিশ^াসে তারা সময় গুনছিল। কিন্তু আর কতদিন? নির্মানাধীন রাস্তার খোয়া উঠে যাচ্ছে। অনেক স্থানে ভাঙন ক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু পুনরায় কাজের কোন নমুনা দেখা যাচ্ছেনা। বাকি অংশে খোয়া ফেলে রুলিং শেষে পিচ ঢালাই (বিসি) করার কথা থাকলেও কাজ বন্ধ থাকায়, কর্তৃপক্ষ এলাকার মানুষকে তেমন কোন বিশ^াসযোগ্য সদুত্তর দিতে পারছেন না। তাই সবাই হাল ছেড়ে বসতে শুরু করেছে। তাদের বদ্ধমুল ধারনা জম্মেছে রাস্তার কাজ শেষ করার আগেই হয়তো শুরু করা সড়কের কাজের করুণ পরিনতি হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি কাজটি বন্দের কারণ উদঘাটন করে, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক পুনরায় দ্রæততার সাথে কাজটি শেষ করার উদ্যোগ নেয়া হোক।
এ ব্যাপারে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ^জিৎ কুন্ডু বলেন, ঠিকাদারের সাথে কাজ পুনরায় শুরুর বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে। অনেক আগের রেটের কারণে কাজটি এগিয়ে নিতে গড়িমশি করা হচ্ছে। আমরা পুনরায় তার সাথে যোগাযোগ করেছি, ডিসেম্বর নাগাদ কাজ পুনরায় শুরু হতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন