মো. শরীফুল ইসলাম, সখিপুর (টাঙ্গাইল) থেকে
সখিপুর-ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কসহ স্থানীয় সকল সড়ক খানাখন্দে ভরপুর। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সখিপুর উপজেলার প্রধান সড়কসহ স্থানীয় সকল সড়ক যান চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সখিপুর-ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের সখিপুর সদর থেকে নলুয়া পর্যন্ত সাত কি.মি. সড়ক চার মাস পূর্বে এবং নলুয়া থেকে গোড়াই পর্যন্ত ২১ কি.মি. সড়ক ৬ মাস পূর্বে সংস্কার কাজ করা হয়েছে। সড়কটি সংস্কার করার পর বর্ষা পার হওয়ার পূর্বেই যান চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সখিপুর সদরের পোস্ট অফিসের সামনে, সিএনজি স্টেশন, পিচের মাথা, পূর্বদেশ ফিলিং স্টেশনের সামনে, ব্যুরো বাংলাদেশ অফিসের সামনে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে পুকুর হয়ে গেছে। সখিপুর-ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের গোড়াই পর্যন্ত ২৮ কি.মি. সড়কের মধ্যে বংকী, শোলাপ্রতিমা, নলূয়া বাজার, দেওদিঘী, ছাপড়া বাজার, আমের চারা, কামারপাড়া, তক্তারচালা পুরাতন-নতুন বাজার, পেকুয়া, কাইতলা, তালতলা, বাশতৈল, চেয়ারম্যান বাড়ি, হোসেন মার্কেট, বটতলা, হাঁটুভাঙ্গা বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যা যানবাহন চলাচলের জন্য খুবই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া হাঁটুভাঙ্গা থেকে গোড়াই পর্যন্ত খানাখন্দে ভরপুর। সখিপুর-ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়ক ছাড়াও স্থানীয় সখিপুর-কালিয়ান-ইন্দ্রাজানি-হামিদপুর-পাথারপুর-কালমেঘা কালিদাস সড়কের বেহালদশা। উপজেলার তক্তারচালা কামালিয়া চালা-হতেয়া সড়কের করুণ অবস্থা। স্থানীয় সড়ক কচুয়া-আড়াইপাড়া, বড়চওনা-তৈলধারা, বড়চওনা-ইন্দ্রাজানি সড়কে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এমনকি সখিপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের সড়কেরও বেহালদশা । ফলে সখিপুরবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। টাঙ্গাইলের সখিপুরে একই দলের এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র থাকা সত্ত্বেও জনগণের মধ্যে কোনো জবাবদিহিতা নেই। সড়কের খানাখন্দ ঠিক করার জন্য মাঝে-মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের আত্মীয়স্বজন দিয়ে খানাখন্দে ইটের টুকরা ফেলে বিল তৈরি করা হয়Ñ এই ইটের টুকরার কারণে সড়ক আরো খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়। প্রধান সড়কসহ স্থানীয় সড়কে যানবাহন চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ ভারি যানবাহন প্রায়ই ফেঁসে গিয়ে সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। বাস-ট্রাক-পিকআপ স্থানীয় সড়ক উপজেলা পরিষদ-জেলখানা মোড়-সৌখিন মোড় হয়ে চলাচল করায় –এ সড়কটিও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সঙ্গত কারণে পৌরবাসীর সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সখিপুর-ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের গোড়াই পর্যন্ত হাজারো ছোট-বড় গর্তের কারণে মাঝে-মধ্যেই বাস-ট্রাক বিকল হয়ে ঢাকার সাথে সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। নলুয়া থেকে টাঙ্গাইল সড়কের বেড়বাড়ি বাজারে মারাত্মক ৩টি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এসব গর্তে মালবাহী ট্রাক বিকল হয়ে একদিকে সখিপুর-ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে অপরদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল কলা, আম, বেগুন, আনারস, কাঁঠাল, করলা প্রভৃতি বিনষ্ট হচ্ছে। এ সড়কে ময়মনসিংহ, মধুপুর, ঘাটাইল, জামালপুর, কালিহাতী এলাকার লক্ষাধিক যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। জনগুরুত্বপূর্ন এ সড়কটির বিভিন্ন খানাখন্দকে পুঁজি করে ক্ষমতাসীন আ’লীগ ঠিকাদাররা বেগুন ক্ষেত হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেÑ কিছুদিন পর পরই গর্তে ইট-খোয়া ফেলে বিল তুলে খাচ্ছে। আদৌ সড়কগুলোর সংস্কার হবে কিনা বিজ্ঞ মহলের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। শুধু তাই নয় কচুয়া-কীর্ত্তনখোলা সড়কসহ গজারিয়া, বহুরিয়া-চতল বাইদ, যাদবপুর, হাতীবান্ধা, দাড়িয়াপুর, বহেড়াতৈল, কাকড়াজান, কালিয়া ৮টি ইউনিয়নের সাথে উপজেলা সদরের যোগাযোগের সড়কগুলোরও বেহালদশা। সড়ক উপ-বিভাগ মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)-এর কার্য-সহকারী মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, কিছুদিন পূর্বে সখিপুর-ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কটি সংস্কার করা হলেও নি¤œমানের বিটুমিনের কারণে পুনরায় যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, সখিপুর-ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের গোড়াই থেকে সখিপুর তালতলা পর্যন্ত ২৮ কি.মি. সড়ক ও জনপদের এবং সখিপুর থেকে সাগরদীঘি ২০ কি.মি. সড়ক এলজিইডি’র।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন