মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। এরপর বিভিন্ন কারণে নির্বাচন হয়নি। এ সুযোগে প্রায় দেড় যুগ পার করে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন পৌর পরিষদ। নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি দেশের অধিকাংশ পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিলে এ পৌরসভার সম্ভাব্য প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করলেও ঊর্ধ্বতন নেতাদের নিশ্চুপ দেখে এখন তারা থেমে গেছেন। ১১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত বিশাল এ পৌরসভায় ভোটার ১১ হাজার ৫২৯ জন। পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর ২০০০ সালের নির্বাচনে প্রথম পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ সমর্থক সাজ্জাদ করিম মন্টু। পরে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুনরায় তিনি আওয়ামী লীগে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এক সমর্থক পৌরসভা বিলুপ্তির আবেদন করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে আরেকটি মহল একে পৌরসভার পরিবর্তে পুনরায় ইউনিয়ন করার আবেদন করলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মুকসুদপুর পৌরসভাকে বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করেন। এরই মধ্যে পৌরসভা চেয়ে আদালতে আরেকজন একটি মামলা করেন। এসব আইনি প্যাঁচে মুকসুদপুর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এ সুযোগে গত প্রায় দেড় যুগ ধরে বহাল আছেন সাজ্জাদ করিম মন্টু। অপরদিকে জনগণ পৌরসভা-ইউনিয়ন যাই হোক নির্বাচন দাবিতে বিভিন্ন সময় মানববন্ধনসহ নানা র্কমসূচি পালন করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। পৌরবাসী দীর্ঘদিন ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত থাকায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তবে জনগণের সে ক্ষোভে স্থানীয় নেতাদের মনে কোন প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে বলে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সংসদ সদস্য মুঃ ফারুক খানের নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এ পৌরসভার জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণে তিনি কি ভূমিকা রাখবেন দীর্ঘদিন তা দেখার অপেক্ষা করছে মুকসুদপুর পৌরসভাবাসী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন